ঢাকা,  বুধবার  ২৪ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

‘বাংলাদেশে ভালো মানের ১০ জন পেসার আছে’

প্রকাশিত: ১৮:২৬, ১ জুন ২০২৩

‘বাংলাদেশে ভালো মানের ১০ জন পেসার আছে’

ছবি: সংগৃহীত

একটা সময় ছিল যখন প্রতিপক্ষ দলকে হারাতে স্পিনারদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে ভূমিকা ও দৃশ্যপট দুইয়ে এসেছে পরিবর্তন। ঘরে কিংবা বিদেশের মাটিতে টাইগারদের জয়ে এখন নিয়মিত পারফর্ম করছেন পেসাররা।

টাইগার পেসারদের ভালোর স্বীকৃতি হিসেবে প্রশংসা পাচ্ছেন বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড এবং সাবেক বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। তবে পর্দার আড়ালে থেকে পেসারদের উন্নতিতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন শ্রীলংকান চম্পাকা রামনায়েকে।

মূলত জাতীয় দলের সিঁড়িতে ওঠার ধাপ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হাই পারফরম্যান্স ইউনিটে (এইচপি) ২০১৭ সাল থেকে পেস বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন চম্পাকা। তবে এখন টাইগার ‘এ’ দলের পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছেন এ কোচ।

বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, এইচপির সঙ্গে চম্পাকাকে আর দেখার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এইচপির জন্য নতুন বোলিং কোচ খুঁজছে বিসিবি। উইন্ডিজের কলি কলিমোরের সঙ্গে কথা এগোলেও এখনো চুক্তি চূড়ান্ত হয়নি। এইচপির বর্তমান ক্যাম্প চলছে সাবেক জাতীয় দলের ক্রিকেটার ডলার মাহমুদকে দিয়ে।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে যদি চম্পাকার মেয়াদও বাড়ে, তিনি এরপর কাজ করতে পারেন বাংলাদেশ টাইগার্সের সঙ্গে। তবে রামানায়েকের আগ্রহ এইচপি ঘিরেই। 

গণমাধ্যমকে চম্পাকা বলেন, ‘এইচপির সঙ্গে কাজ নিয়ে খুবই খুশি ছিলাম। এই পাঁচ বছরে এইচপি হয়ে অনেক ফাস্ট বোলার এসেছে। কিছু জাতীয় দলে আছে, কিছু জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ছে। এইচপি থেকে জাতীয় দলে আসা—এটা আসলে একটা প্রক্রিয়া। গত পাঁচ বছরে এটাই ঘটেছে। জাতীয় দলের জন্য ফাস্ট বোলার তৈরি—কাজটা আমি ভালোবাসি। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে ভালো মানের অন্তত ১০ জন ফাস্ট বোলার আছে। যখন আমি এখানে কাজ শুরু করেছিলাম, সংখ্যাটা খুব বেশি ছিল না। গত পাঁচ-ছয় বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেটে এই অবদান রাখতে পেরে আমি খুশি।’

এইচপিতে কাজ করা শিষ্যদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সাফল্য আনন্দিত করে চম্পাকাকে। এখন তাদের খুব একটা কাছে না পাওয়া গেলেও নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন। টিভি পর্দায়ও চোখ রাখতে ভুল হয় না। এই যেমন গত মাসে চেমসফোর্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে হাসানের রোমাঞ্চকর শেষ ওভারের উত্তেজনা কিছুটা ভর করেছিল চম্পাকার মনেও। 

এই তরুণ বয়সেও মাথা ঠান্ডা রেখে হাসান যেভাবে শেষ ওভারের চাপ সামলে বোলিং করেছেন, শিষ্যের প্রতি চম্পাকার মুগ্ধতাই প্রকাশ পেল তাতে, ‘একজন কোচের জন্য এটা খুবই খুশির এবং তৃপ্তির বিষয়। এই বিষয়টা (চাপে মাথা ঠান্ডা রাখা) খুব বেশি বোলারের নেই। সে বিশেষ। চাপের মুহূর্ত সামলানোর ক্ষমতা তার মধ্যে আছে। স্কিলও ভালো। সে ভালোভাবে কাজে লাগাতে পেরেছে।’