গোলাম রব্বানী ছোটন। ফাইল ছবি
শামসুন্নাহারের মতো ফুটবলার থাকলে ম্যাচ অনেক সহজ হয়ে যায়। তার উপস্থিতি দলকে উজ্জীবিত করে, অনুপস্থিতি ভোগায়। অনূর্ধ্ব-২০ সাফে ভুটানকে হারানোর পর অধিনায়ককে নিয়ে এমনই প্রশংসা বান ছুটেছে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের কাছ থেকে। ফাইনালের আগে ভুটানের বিপক্ষে এই জয় পুরো দলকে উজ্জীবিত করবে। তবে প্রতিপক্ষ নেপাল হওয়ায় ম্যাচ সহজ হবে- এটা মানতে নারাজ টিম ম্যানেজমেন্ট।
শামসুন্নাহারে বিধ্বস্ত হয়েছে ভুটান। তারপরও বাংলার কাপ্তানকে নিয়েই আগ্রহ দেশটির ফুটবলারদের। এক সঙ্গে টিম হোটেল শেয়ার করা সুযোগ হয়নি। স্বল্প সময়ের জন্য কাছে পেয়ে তার ভালো খেলার গোপন রহস্য জানার তীব্র আকাঙ্খা ভুটানিজদের।
এদিকে ফাইনাল শেষে বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন শামসুন্নাহারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তিনি বলেন, ‘ও দলে থাকলে আমাদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়। আবার না থাকলে আমরা ভুগি।’
মাত্র একটা পয়েন্টেই নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের ফাইনাল। তাই ড্র করলেই চলতো ছোটন বাহিনীর। তবে তার শিষ্যরা ম্যাচের শুরু থেকেই খেলেছে জয়ের ক্ষুধা নিয়ে। স্কোরলাইন ৫-০, ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। যদিও এসব বড় করে দেখছেন না কোচ। ছোটন বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৫, ১৮, ১৯, ২০; সাফের প্রত্যেকটা টুর্নামেন্টেই আমরা ফাইনাল খেলেছি। এবারও আমাদের লক্ষ্য ছিল মেয়েরা ভালো খেলবে, আবারও ফাইনালে যাব।’
নেপালের কাছে অপ্রত্যাশিত হারে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে ভারত। আবার হিমালয় কন্যাদের হারিয়েই সাফে শুভ সূচনা করে অনূর্ধ্ব-২০ দল। তাই ফাইনাল ম্যাচটি একপেশে হবে কি না- এমন প্রশ্নে কৌশলী টিম ম্যানেজমেন্ট।
মাত্র পাঁচ দিনে তিনটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তার ওপর টার্ফের অবস্থা যাচ্ছে-তাই। শঙ্কা থাকে ফুটবলারদের ইনজুরি নিয়ে। দুজনের চোট থাকলেও সুখবর হলো- ফাইনালের আগে তারা সবাই ফিট হয়ে উঠছেন।