ফাইল ছবি
প্রায় ২১ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে থাকা একটি ‘সুপারনোভা’র গতিবিধি ফুটে উঠেছে ডিএসএলআর ক্যামেরায়। এই বিরল ছবির তোলার কৃতিত্ব লিকুইড প্রোপালসন সিস্টেম কেয়ারের চার অপেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফাহদ বিন, আবদুল হাসিস, কিরণ মোহন ও বিশাখ শশীধরনের।
সম্প্রতি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এমনটাই জানিয়েছে। অপেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের
প্রচেষ্টাতেই খুব সামান্য যন্ত্রপাতির সাহায্যেই বিরল দৃশ্যের ছবি তোলা সম্ভব হয়েছে। ইসরোর প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী, পিন হুইল গ্যালাক্সিতে থাকা SN2023ixf নক্ষত্রের ছবি তুলেছে এই দলটি।
কীভাবে ডিএসএলআর-এর সাহায্যে সম্ভব হল এই কাজ? বিজ্ঞানীদের কথায়, এর সঙ্গে ছিল আরো বেশ কয়েকটি প্রাথমিক মহাকাশ নিরীক্ষণের যন্ত্রপাতি। সেগুলোও কাজে লাগানো হয়েছে SN2023ixf-কে ক্যামেরা বন্দী করতে। তবে কাজটি নিঃসন্দেহে বেশ কঠিন ছিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইসরোর প্রতিবেদনে উপরের ও নিচের ছবি দুটি প্রকাশ করা হয়। সেখানেই দেখা যায়, তিন বছর আগে ২০২০ সালের ১৯ মে তোলা ছবিটিতে একটু আবছা দেখা যাচ্ছে SN2023ixf-কে। কিন্তু তিন বছর পর ২০২৩ সালের ২২ মে তোলা ছবিতে বেশ উজ্জ্বল দেখাচ্ছে SN2023ixf-কে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছবি দুটি তোলার সময় মহাকাশের আবহাওয়া মোটেই ভালো ছিল না। তাই কাজটা আরও কঠিন ছিল। তবে তিন বছরের ব্যবধানে এই চেষ্টা শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে।
ছবি: ইসরো
প্রসঙ্গত, কোনো মহাজাগতিক ঝড়ের কারণে একটি নক্ষত্র এমন উজ্জ্বল হয়ে উঠলে তাকে সুপারনোভা বলা হয়। মহাকাশ বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই টাইপ ২ সুপারনোভাকে গত ১৯ মে আবিষ্কার করেন কোইচি ইতাগাকি। তারপরেই ২২ মে তোলা হয় এই বিশেষ ছবি।