ফাইল ছবি
দিন দিন উন্নতি হচ্ছে প্রযুক্তির। আর এই প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণে বদলে গেছে মোবাইল ফোন আর যন্ত্রপাতির ধরন। এখন ফোনে কথা বলা বা গান শোনার জন্য বহু মানুষই ব্লুটুথ হেডফোন এবং ইয়ারফোন ব্যবহার করেন।
কয়েক বছর আগেও ব্যাপকভাবে এগুলোর ব্যবহার হতো না। কিন্তু এই ব্লুটুথ কি শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে? বিভিন্ন মহলে দাবি উঠেছে, ব্লুটুথ ইয়ারফোন-হেডফোন ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।
ব্লুটুথ থেকে রেডিয়ো ফ্রিকুয়েন্সি নির্গত হয়। ২ দশমিক ৪ গিগাহার্জে এই রেডিয়ো ফ্রিক্যুয়েন্সি কাজ করে। ব্লুটুথ থেকে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন হয়। এই রেডিয়েশন দু’ধরনের। আয়োনাইজিং এবং নন-আয়োনাইজিং। ব্লুটুথ থেকে যে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন হয়, সেটি নন-আয়োনাইজিং। এই ধরনের রেডিয়েশন ক্যানসারসহ নানা ধরনের সমস্যার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে।
তবু অনেকের দাবি, ব্লুটুথ ইয়ারফোন এবং হেডফোনের কারণে ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ে না। কারণ এই যন্ত্র থেকে রেডিয়েশনের মাত্রা খুবই কম। কথাটি সত্যি। কিন্তু বিজ্ঞানীরা অন্য একটি সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। সেটি হল ‘স্পেসিফিক অ্যাবসর্পশন রেট’ বা ‘এসএআর’।
কী এই ‘এসএআর’? রেডিয়েশনের কতটা শরীরে ঢুকছে তার মাত্রা এটি। ব্লুটুথ ইয়ারফোন এবং হেডফোনে রেডিয়েশনের মাত্রা খুব কম হলেও এগুলো শরীরের, বিশেষ করে মাথার এত কাছে থাকে, যে ‘এসএআর’ এর মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায় এবং সেটিই ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার জন ওয়েন ক্যানসার ইনস্টিটিউটের গবেষক-চিকিৎসক সন্তোষ কেশরি ‘হেল্থলাইন’ নামক জার্নালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, নিয়মিত ব্লুটুথ হেডফোন এবং ইয়ারফোন ব্যবহারের ফলে ক্যানসারসহ অন্য অসুখের আশঙ্কা বেড়েছে। তার মতে, ফোনে কথা বলার সময়ে স্পিকার চালু করলে বা তার যুক্ত হেডফোন-ইয়ারফোন ব্যবহার করলে এই সমস্যার আশঙ্কা অনেক কমে।