ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

দুর্দান্ত বাইক নিয়ে এল রয়েল এনফিল্ড, শোরুমে হুড়োহুড়ি

প্রকাশিত: ১১:৪২, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩

দুর্দান্ত বাইক নিয়ে এল রয়েল এনফিল্ড, শোরুমে হুড়োহুড়ি

বাজারে আসা নতুন এই মডেলের মোটরসাইকেলটিকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেলকে নতুন করে চেনানোর প্রয়োজন নেই। ক্লাসিক লুক, আর দুর্দান্ত পারফম্যান্সের কারণে বিশ্বের বহু দেশে এই বাইক সমাদৃত। এরইমধ্যে রয়েল এনফিল্ডের নতুন একটি মডেলকে ঘিরে তৈরি হয়েছে ব্যাপক উন্মাদনা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজএইটিনের খবরে বলা হয়, বাজারে আসা সর্বশেষ এই মডেলটির নাম Royal Enfield Super Meteor 650 Cruiser। ৬৫০ সিসির এই মোটরসাইকেলটি ইতোমধ্যেই দেশটির বাজারে উন্মাদনা তৈরি করেছে।

মোটরসাইকেলটি সম্পর্কে খবরে বলা হয়েছে, নতুন এই ক্রুজার মোটরসাইকেলটির ডিজাইন অসাধারণ সুন্দর। সঙ্গে রয়েছে সব রকম আধুনিক প্রযুক্তি এবং ফিচার। বাইটিকে বরাবরের মতোই আভিজাত্যের বৈশিষ্ট্য অটুট রয়েছে। বাঁকানো ফ্রন্ট ফেন্ডার, টিয়ারড্রপ-আকৃতির ১৫.৭ লিটারের জ্বালানি ট্যাঙ্ক, প্রায় গোলাকার রিয়ার ফেন্ডার সব মিলিয়ে নতুন বাইকটি এতই আকর্ষণীয় যে, এক নজরেই যে কোনো মোটরসাইকেলপ্রেমীর মন কেড়ে নেবে।

মোটরসাইকেলটির সঙ্গে ব্লুটুথ স্মার্টফোন কানেক্টিভিটি ও স্ট্যান্ডার্ড ট্রিপার নেভিগেশন যুক্ত করা হয়েছে। ফলে আরোহী পথ চলতে চলতেই সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দেখে নিতে পারবেন এর ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারের সাহায্যে। ক্রুজার বাইক হলেও এতে রয়েছে রেট্রো লুক। ডুয়াল টোন পেন্ট শেড এটির সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

সুপার মিটিওর এই মোটরসাইকেলটিতে চওড়া হ্যান্ডেলবার, অতিরিক্ত কুশন সিট যা কম ঝাঁকুনি দেয় এবং আরামদায়ক সিটের পাশাপাশি সামনের সরল ফুটপেগ আরোহীর আরাম নিশ্চিত করে। পেছনের যাত্রী ডিলাক্স ফুটপেগের পাশাপাশি একটি ব্যাকরেস্টের সুবিধাও রয়েছে।

৬৫০ সিসির এই বাইকে দু’টি ৬৪৮ সিসি সমান্তরাল ইঞ্জিন, যা ৪৭ বিএইচপি পিক পাওয়ার এবং ৫২.৩ এনএস পিক টর্ক তৈরি করতে পারে। সঙ্গে যুক্ত আছে USD ফ্রন্ট সাসপেনশন ও ডুয়াল-স্প্রিং রিয়ার সাসপেনশন। সামনে ১৯ ইঞ্চি টিউবলেস অ্যালয় হুইল এবং পেছনে ১৬ ইঞ্চি টিউবলেস অ্যালয় হুইল ব্যবহার করা হয়েছে।

মোটরসাইকেলটি ৭ হাজার ২৫০ আরপিএমে ইঞ্জিনে সর্বোচ্চ ৪৭ পিএস ও ৫ হাজার ৬৫০ আরপিএমে ইঞ্জিনে ৫২.৩ টর্ক পাওয়া যাবে। সঙ্গে রয়েছে ৬ স্পিড গিয়ারবক্স। যুক্ত করা হয়েছে ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেম।

জ্বালানি ছাড়া বাইকটির ওজন ২৪১ কেজি, যা খুবই ভারি। উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের দাবি, এ কারণে যে কোনো রাস্তায় চলতে সক্ষম এই মোটরসাইকেল।

রয়েল এনফিল্ড নিজেই দাবি করেছে, সুপার মিটিওর এখন পর্যন্ত তাদের সবচেয়ে আধুনিক ও পরিমার্জিত পণ্য। বাইকটি বাজরে লঞ্চ হতে না হতেই শোরুমে ক্রেতাদের ভিড় পরে গেছে। বাধ্য হয়ে অগ্রিম অর্ডার নিচ্ছে কোম্পানি। আর এ ঘটনাই বলে দেয় বাজারে আসা নতুন মডেলের এই মোটরসাইকেলটিকে ঘিরে কতটা উন্মাদনা তৈরি হয়েছে।