ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

দেশের প্রথম ‘ক্যাশ-লেস’ ক্যাম্পাস হবে হাজী দানেশ : পলক

প্রকাশিত: ১১:১৭, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

দেশের প্রথম ‘ক্যাশ-লেস’ ক্যাম্পাস হবে হাজী দানেশ : পলক

ফাইল ছবি

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের প্রথম ক্যাশ-লেস ক্যাম্পাসে পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এজন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।


রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)’র যুব প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলার ‘ক্যাশলেস ইকোনমি’ লেটস টক শিরোনামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
এতে অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, আমার দেশ, আমার গ্রামের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাদেকা হাসান সেজুতি, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারপারসন তানজিবা রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সাহশ মোস্তাফিজ। এছাড়া নীতিনির্ধারক, উদ্যোক্তা ও তরুণদের এ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০ জনের বেশি তরুণ শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের স্বাগত বক্তব্যের পরে অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।
পরে জুনাইদ আহমেদ পলক তার বক্তব্যে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশ হতে চায়। ক্যাশলেস ইকোনমি হলো ভিশন বাস্তায়িত করার হাতিয়ার।
আইসিটি প্র্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের নির্দেশনায়, আমরা একটি আন্তঃপরিচালনাযোগ্য ডিজিটাল লেনদেন প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’ তৈরি করছি। এটা দেশে নগদবিহীন অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করবে।
সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, দেশ জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ উপভোগ করছে। এটাকে কাজে লাগাতে তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জনগণই নগদবিহীন অর্থনীতি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির হাতিয়ার।
দেশের জনশক্তি সম্পর্কে নিজের উচ্চাকাক্সক্ষী দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ একটি নগদবিহীন অর্থনীতি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে দেশের উত্তরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আমরা একটি নতুন সীমান্তের দ্বারপ্রান্তে আছি এবং আমাদের এই নতুন সীমান্তকে আলিঙ্গন করতে হবে।’
উদ্যোক্তা ও ইভেন্টের প্যানেলিস্ট সাদেকা সেজুতি বলেন, ২০০৮-০৯ সালে বাংলাদেশে কোনো পেমেন্ট গেটওয়ে ছিল না, ই-কমার্সও ছিল না। ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তায়িত হওয়ার সাথে সাথে, দেশে এখন জাতীয় পেমেন্ট গেটওয়ে সিস্টেম রয়েছে, যা বিকাশমান মোবাইল আর্থিক সেবাগুলোকে অনুঘটক করেছে।
তিনি বলেন, নগদবিহীন অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে, আমাদের গ্রামীণ কৃষকদের নগদহীন লেনদেনের সাথে একীভূত করতে হবে যেখানে একজন কৃষক নগদবিহীন উপায়ে উপার্জন করতে, ব্যয় করতে ও সঞ্চয় করতে সক্ষম হবেন।
ফ্রিল্যান্সার ও প্যানেলিস্ট তানজিবা রহমান বলেন, আমরা ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে অনেক সময় ও ঝামেলা বাঁচাতে পারি। বিনিময়ে সে সময়ের মধ্যে, আমরা খুব সামান্য পরিমাণ সার্ভিস চার্জ দিতে পারি। যাইহোক, যদি আমরা এখনও চার্জ দিতে না চাই, তাহলে আমাদের ডিজিটাল থেকে ডিজিটাল লেনদেনকে অবলম্বন করতে হবে যাতে, আমাদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ক্যাশ আউট চার্জ দিতে না হয়।