ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৮ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ভূমি-গৃহহীনমুক্ত হলো গাজীপুর

প্রকাশিত: ১৪:২৭, ২২ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ১৭:৪০, ২২ মার্চ ২০২৩

ভূমি-গৃহহীনমুক্ত হলো গাজীপুর

ছবি: সংগৃহিত

ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হলো গাজীপুর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (২২ মার্চ) বেলা সোয়া ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সারা দেশের উপকারভোগী পরিবারগুলোর কাছে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি ৭টি জেলার সঙ্গে গাজীপুরকেও ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামে সবচেয়ে বড় পরিসরে ১৪২টি ঘর তৈরি করা হয়েছে। ৮ একর ৯০ শতাংশ সরকারি খাস জমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের সর্ববৃহৎ আশ্রয়ণ প্রকল্প। এ সময় আনুষ্ঠানিকভাবে নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাকা বাড়ি পাওয়া ১৪২ পরিবারের মাঝে জমির কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান জানান, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ প্রকল্পসহ গাজীপুরে “ক” শ্রেণির অর্ন্তভুক্ত ১ হাজার ৮১৭টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়া হয়েছে। সরকারি এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে অবৈধ ভূমি দখলমুক্ত করে পরিকল্পনা অনুযায়ী আধুনিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। দারিদ্র বিমোচনে শেখ হাসিনা মডেলের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এখানে কর্মসংস্থানের সুবিধা, মসজিদ, কবরস্থান, কমিউনিটি সেন্টার পর্যায়ক্রমে গড়ে তোলা হবে। এ আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের ভেতর পূর্ণাঙ্গ এক শহর গড়ে উঠছে। এ প্রকল্পের প্রতিটি ঘর তৈরিতে সরকারিভাবে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এতে রয়েছে স্কুল, মসজিদ, খেলার মাঠ, সুপেয় পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা।

এ সময় গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর -৩ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ, গাজীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার, রুমানা আলী টুসি, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মো. নুরুল ইসলাম, গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভকেট শামসুল আলম প্রধান, শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমানসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।