ফাইল ছবি
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার কাছে হজ ও ওমরার ফজিলত অসীম ঐ ব্যক্তির জন্য যে তার নিয়তকে আল্লাহর জন্য খালেস করে নেবে এবং পবিত্র কোরআনুল কারিম সুন্নাহ মোতাবেক হজ ও ওমরার সব কাজ সমাধা করবে।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
من أتى هذا البيتَ فَلَمْ يَرَفْتُ وَلَمْ يَفْسُقُ رَجَعَ كما ولدته أمه»
অর্থ: ‘যে ব্যক্তি এ ঘরে আগমন করল এবং কোনো অশালীন আচরণ করেনি ও পাপকাজে লিপ্ত হয়নি (হজ শেষে) সে ঐরূপ হয়ে ফিরে যাবে যে রূপ তার মা তাকে প্রসব করেছিল’। (সহিহ বুখারী, হাদিস নম্বর ৫৮০৯ ও সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর ৩৩৫৭)
অর্থাৎ সে এমন অবস্থায় ফিরে যাবে যে, তার সব পাপ মাফ করে দেওয়া হয়েছে, ঐ শিশুর ন্যায় যে কোনো পাপ বা অন্যায় করেনি। (সহিহ বুখারী, হাদিস নম্বর ৫৮০৯ ও সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর ৩৩৫৭)
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আরো বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
«الْعُمْرَةَ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةً لِمَا بَيْنَهُمَا وَالْحَجُ المبزوز ليس له جزاء إلا الجنة»
‘এক ওমরাহ থেকে আরেক ওমরাহ পালন এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সময়ে কৃত পাপের কাফফারা হয়ে থাকে। আর পূণ্যময় হজের পুরস্কার জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়’। (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর ১৭৭৩ ও সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর ৩৩৫৫)
প্রিয় মুসলিম ভাই! পূণ্যময় হজ হলো সে হজ যাতে কোনো প্রদর্শনেচ্ছা (রিয়া) ও প্রসিদ্ধি লাভের লোভ নেই এবং যা পাপ ও ফিসক্ মিশ্রিত নয়। আর তা এমন- হজ পালনকারী যার সব কাজ পরিপূর্ণভাবে সমাধা করেছে, যেমনটি আল্লাহ তাআলা ও তার রাসূল (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন’। (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর ১৭৭৩ ও সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর ৩৩৫৫)