হজ
হজ কার্যক্রম পরিচালনায় এ বছর প্রাথমিকভাবে ৭৪৭টি এজেন্সিকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রত্যেক হজযাত্রীর সঙ্গে এজেন্সির লিখিত চুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি এজেন্সি এবার সর্বোচ্চ ৩০০ জন, সর্বনিম্ন ১০০ হজযাত্রী পাঠাতে পারবে।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) এ তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তালিকায় থাকা শর্তাবলিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি হজ এজেন্সিকে মিনা, আরাফাহ ও মুজদালিফায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক হজকর্মী নিয়োগ করতে হবে।
সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুসারে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে যেতে পারবেন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ ব্যক্তি পবিত্র হজে যেতে পারবেন।
বেসরকারি হজ এজেন্সিকে দেয়া শর্তে আরও বলা হয়েছে, অনিবন্ধিত কোনো ব্যক্তিকে হজযাত্রী হিসেবে নেয়া যাবে না। যদি কোনো এজেন্সি এমন কিছু করে, তাহলে কারণ দর্শানো ছাড়া লাইসেন্স বাতিলসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তালিকা প্রকাশের পর কোনো হজ এজেন্সির তথ্য ভুল বা অসত্য প্রমাণিত হলে এবং কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কারণ দর্শানো ছাড়া সংশ্লিষ্ট এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাতিলের অধিকার রাখে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে,যে সব এজেন্সির লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে এবং এ পর্যন্ত হালনাগাদ কাগজপত্রাদি মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেনি, বিভিন্ন অভিযোগে শাস্তি/জরিমানাপ্রাপ্ত, সৌদি আরবে কালো তালিকাভুক্ত এবং অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে, সেই সব এজেন্সির নাম তালিকায় প্রকাশ করা হয়নি।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। মিনার তাঁবুর সি-শ্রেণির মূল্য হিসাবে এই সরকারি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিনার তাঁবুর অবস্থানসংক্রান্ত শ্রেণি অনুযায়ী বেসরকারি এজেন্সিগুলো সরকারি প্যাকেজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজ নিজ হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে। তাঁবুর অবস্থান ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজের মতো হতে হবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন হজ হতে পারে। গত মাসে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় হজ চুক্তি সই হয়েছে।