ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

চোখের পাপড়িতে মাশকারা থেকে গেলে কি অজু হবে?

প্রকাশিত: ১৩:৫৫, ২৩ মে ২০২২

আপডেট: ২০:৩৬, ২৪ মে ২০২২

চোখের পাপড়িতে মাশকারা থেকে গেলে কি অজু হবে?

একজন মানুষের চোখ মূলত মনের প্রতিচ্ছবি। সেই চোখের সৌন্দর্যকে বহুগুণ বাড়িয়ে তোলার জন্যই ব্যবহার করা হয় মাশকারা। তবে এই মাশকারা চোখের পাপড়িতে ব্যবহার করলে অজু হবে কি?

আসলে মাশকারা চোখের পাপড়িতে ব্যবহারযোগ্য এক ধরনের রং, যা রূপচর্চা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এতে চোখের পাপড়ি সুন্দর আকৃতি পায় এবং কখনো ঘনও হয়। এই মাশকারাগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটি পানি প্রবেশ করে। আবার কোনোটিতে পানি প্রবেশ করে না। আমরা জানি যে, অজুর পানি চোখের পাপড়িতে পৌঁছতে হবে।

অজু ও গোসলের ক্ষেত্রে চোখের পশম বা পাপড়িতে পানি পৌঁছা ওয়াজিব। যেহেতু এটি চেহারার গণ্ডিতে রয়েছে, যা ধৌত করার আদেশ এসেছে। অনুরূপভাবে চোখের ভ্রূ, গালের পশম, মোচ ও দাড়ি ধৌত করতেও আদিষ্ট।

আর-রওদুল মুরবি গ্রন্থে বলা হয়েছে, চেহারাতে বিদ্যমান হালকা চুল যার নীচ দিয়ে চামড়া দেখা যায় তা ধৌত করবে। যেমন: চোখের পশম, মোচ ও নিম দাড়ি। কেননা সেগুলো চেহারার অন্তর্ভুক্ত। [সংক্ষেপিত ও পরিমার্জিতভাবে সমাপ্ত) আল-মাজমু : ১/৩৭৬; মাওয়াহিবুল জালিল : ১/১৮৫)]

উপরোক্ত  আলোচনার প্রেক্ষিতে যদি মাশকারার রঙের পশমে পানি পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত না করে তাহলে অজু শুদ্ধ। আর যদি পানি পোঁছার ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত করে, তাহলে অজু ও গোসল করার আগে মাশকারার কালার অপসারণ করা ওয়াজিব। কেননা অজু-গোসল শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত হলো যা কিছু অজুর অঙ্গে পানি পৌঁছাকে বাধাগ্রস্ত করে সেটাকে অপসারণ করা।

ইমাম নববী বলেন, যদি কোনো অঙ্গের কোনো অংশে মোম, আঠা কিংবা মেহেদি এ জাতীয় কিছু লেগে থাকে, যা অঙ্গটির কিছু অংশে পানি পৌঁছাকে বাধাগ্রস্ত করে তার পবিত্রতা অর্জন সহিহ হবে না, চাই সেটি পরিমাণে বেশি হোক কিংবা কম হোক। (আল-মাজমু :  ১/৪৯২) 

গাজীপুর কথা