ঢাকা,  বুধবার  ১৬ অক্টোবর ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

বন্যার্তদের যে ৩ শর্তে জাকাত দেওয়া যাবে

প্রকাশিত: ১৬:৪৬, ২৩ আগস্ট ২০২৪

বন্যার্তদের যে ৩ শর্তে জাকাত দেওয়া যাবে

ছবি- সংগৃহীত

জাকাত ফরজ বিধান। আর আল্লাহ তাআলা জাকাতের খাত নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তাই জাকাত দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। কেউ শুধু বন্যাদুর্গত হলেই জাকাতের খাত গণ্য হবে না। পাশাপাশি সে আল্লাহ কর্তৃক নির্দিষ্ট খাতের অন্তর্ভুক্ত কি না যাচাই করে নিতে হবে। অন্যথায় জাকাতের ফরজিয়্যাত আদায়ত হবে না। এখানে আমরা দেখে নেবো বন্যার্তদের জাকাত দেওয়ার ক্ষেত্রে যেসব পরখ করা জরুরি।

তিন শর্ত পূরণ হলে বন্যাপীড়িতদের জাকাত দেওয়া যাবে
১. বন্যার্ত ব্যক্তি যদি দরিদ্র বা ঋণগ্রস্ত হয় তাহলে তার জন্য জাকাত বা জাকাতের টাকার ত্রাণ গ্রহণ করা জায়েজ হবে এবং ত্রাণদাতার জাকাতও আদায় হয়ে যাবে।

২ সম্পদ ছিল কিন্তু বন্যায় ধ্বংস হয়ে গেছে—এমন ব্যক্তিকে দিলেও জাকাত আদায় হয়ে যাবে।

৩. বন্যার্ত ব্যক্তির সম্পদ আছে কিন্তু তার সম্পদ অনেক দূরে হওয়ায় এই দুর্যোগের সময় তা কোনো কাজে আসছে না। এমন ব্যক্তি ইবনুস সাবিল তথা সম্পদহীন মুসাফিরের হুকুমে। তাকে দান করলেও জাকাত আদায় হয়ে যাবে।

আল্লাহ নির্ধারিত জাকাতের ৮ খাত
১. দরিদ্র ২. নিঃস্ব ৩. জাকাত আদায়ে নিযুক্ত কর্মচারী ৪. যাদের মন রক্ষা করতে অভিপ্রায় হয় (অমুসলিম বা নবমুসলিম) ৫. দাসমুক্তির কাজে ৬. ঋণগ্রস্ত ৭. আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী ৮. ও (সম্পদহীন) মুসাফির। (সুরা তাওবা: ৬০)

অমুসলিমকে জাকাত দেওয়ার বিধান নেই
কোনো অমুসলিমকে জাকাতের টাকায় ত্রাণ দিলে জাকাত আদায় হবে না। কারণ, ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য অমুসলিমদের জাকাতের বিধান এখন রহিত। তাই অমুসলিমদের ত্রাণ দিলে সাধারণ দান-সদকার টাকা থেকে দিতে হবে। (শামি: ৩/৩৩৮)

দাসমুক্তি ও জাকাত আদায়ে কর্মচারী খাত দুটি বর্তমানে রহিত
দাসমুক্তি ও জাকাত আদায়ে কর্মচারী—এই দুই খাতও বর্তমানে অচল কিংবা ব্যবহার নেই। তাই বাকি পাঁচ খাত তথা দরিদ্র, নিঃস্ব, ঋণগ্রস্ত, মুজাহিদ ও মুসাফিরকেই কেবল জাকাত দেওয়া যাবে। 

আরও যাদের জাকাত দেওয়া যাবে না
এছাড়াও শরিয়ত অনুযায়ী, নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকের নাবালক সন্তান, বনু হাশেমের লোক, মা-বাবা, দাদা-দাদি, নানা-নানি—এভাবে ওপরের স্তরের কাউকে এবং ছেলে-মেয়ে ও তাদের সন্তানাদি এভাবে নিচের স্তরের কাউকে জাকাত দেওয়া যাবে না। স্ত্রী ও স্বামী একে অন্যকে জাকাত দিতে পারবে না। মসজিদ-মাদরাসা, পুল, রাস্তা, হাসপাতাল বানানোর কাজে ও মৃতের দাফনের কাজে জাকাতের টাকা দেওয়া যাবে না। (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/১৮৮, ১৮৯; তাতারখানিয়া: ৩/২০৬; আদদুররুল মুখতার: ৩/২৯৪, ২৯৫)