হঠাৎ করে বেড়েছে তাপমাত্রা। অতিরিক্ত গরমে অতিষ্ঠ চুয়াডাঙ্গার মানুষজন। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। প্রতি ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
রোগীর চাপে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সরা। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শয্যার তুলনায় ১৫ গুণেরও বেশি ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছে। রাতে ও দিনে প্রচুর ভর্তি হচ্ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী, এর মধ্যে অধিকাংশই শিশু।
সোমবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডের অবস্থা করুণ। এ ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা মাত্র ৫টি। কিন্তু রোগী ভর্তি আছে ৮০ জন। বেড পাওয়া তো দূরের কথা এ ওয়ার্ডের মেঝেতেও কোনো ঠাঁই হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা বারান্দায় ঠাঁই নিয়েছেন। এখানে যার যার মতো বিছানা পেতে কোনোরকম জায়গা করে বসেছেন।
ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টাফ নার্স মাসুমা খাতুন ও তহমিনা আক্তার জানান, ‘আমাদের এ ওয়ার্ডে মাত্র পাঁচটি বেড। কিন্তু বেডের চেয়ে ১০-১৫ গুণ রোগী ভর্তি আছে। এক-দুজন নার্স দিয়ে এসব সামলানো খুবই জটিল। তারপরও আমরা চিকিৎসাসেবা দিয়ে চলেছি।
তিনি আরও জানান, ‘প্রয়োজনীয় ওষুধ ও স্যালাইন সরকারিভাবেই সরবরাহ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ওষুধের কোনো ঘাটতি হয়নি।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন বলেন, ‘হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। এটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া। আমরা নিয়মিত চিকিৎসা দিচ্ছি। অনেক রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। আবার নতুন করে অনেকেই ভর্তি হচ্ছেন। গত দু’দিনে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর চাপ অতিরিক্ত লক্ষ করছি। ভর্তি রোগীর সংখ্যাই আশির ওপরে। আর বহির্বিভাগ থেকেও অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
গাজীপুর কথা