ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কুড়িগ্রামে ৭৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১

কুড়িগ্রামে ৭৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি

উজানের পাহাড়ী ঢলে আর ভারতে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি গত ১ সপ্তাহ থেকে ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে, কুড়িগ্রামের নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে নদী তীরবর্তী নিচু এলাকাগুলোয় বন্যার কবলে পড়ে বিপাকে দিন অতিবাহিত করছেন তীরবর্তীতে বসবাসরত মানুষেরা। নদ-নদীগুলোর অববাহিকার চর ও দ্বীপচরের প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে জীবন-যাপন করছে। 

এসব এলাকার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে থাকায় নৌকা হয়ে উঠেছে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। কখনো এক নদীর পানি বাড়ছে তো অন্যদিকে আরেকটি নদীর পানি কমছে, আবার পানি কমা-বাড়ার সাথে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। এসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে, খাদ্য সংকট চরমে।। 

বুধবার(১ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সকালে ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার, ধরলার পানি সামান্য কমে সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পানির নিচে তলিয়ে আছে ধানসহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেত। দীর্ঘদিন পানির নীচে থাকায় বেশিরভাগ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন চরের কৃষকরা।

কুড়িগ্রাম সদর ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের বড়াই বাড়ি গ্রামের মাহাবুব বলেন, '৩ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করছি। ২-৩ দিন নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে আমার আমন খেত তলিয়ে গেছে। পানি যদি স্থায়ী থাকে তাহলে তো আমন আবাদ নষ্ট হয়ে যাবে। অন্যদিকে করোনার কারণে সংসারের অবস্থা খারাপ তার মধ্যে যদি আবার আমন খেত নষ্ট হয়ে যায় কি হবে আমাদের।'

কুড়িগ্রাম কৃষি অফিসের তথ্য মতে, বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে ১৬ হাজার ৪'শ ৭ হেক্টর জমির রোপা আমন ও ২৭০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত। 
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্যার্তদের জন্য ২৮০ মেট্রিক টন চাল ও ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।যা পর্যায়ক্রমে বিতরণের প্রস্তুতি চলছে।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন