ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

সিরাজগঞ্জে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, তিব্র হচ্ছে নদী ভাঙ্গন

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ২৯ আগস্ট ২০২১

সিরাজগঞ্জে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, তিব্র হচ্ছে নদী ভাঙ্গন

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বর্ষনে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বাড়ছেই। একই সাথে বাড়ছে তীরবর্তি এলাকার নদী ভাঙ্গন।
ভাঙ্গন ও পানি বৃদ্ধির ফলে অবনতি হচ্ছে জেলার বন্যা পরিস্থিতির। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে রবিবার সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাধ পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টেও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদীর পানি। 
পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে যমুনা নদীর তিরবর্তি জেলার চৌহালী ও এনায়েতপুরের বেশ কয়েকটি স্থানে শুরু হয়েছে তিব্র নদী ভাঙ্গন। একদিনের ভাঙ্গনে চৌহালী উপজেলার খাসপুকুরিয়া থেকে বাগুটিয়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটারব্যাপি এলাকার বিনানই, চরসলিমাবাদ ও এনায়েতপুরের ব্রাক্ষনগ্রামের অন্তত ২০ টি বসতভিটাসহ বিস্তির্ন ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
ভাঙ্গনের ঝুকিতে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ, স্কুল-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বাড়ি-ঘড়, গাছ-পালা সড়িয়ে নিচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থরা। ভাঙ্গনরোধে কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সব হারানো মানুষেরা।
বন্যা কবলিত হয়ে পড়া জেলার নদী তিরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। এ সকল এলাকার বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে রয়েছেন দুর্গতরা। বন্যা কবলিত এলাকার বিস্তীর্ন ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে রোপা আমন ক্ষেত ও বীজতলা, আখ, পাট, তিল ও সবজিবাগানসহ বিভিন্ন ফসল।
বন্যা ও ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ত্রান সহায়তা বিতরন শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বন্যা কবলিত জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বিতরনের জন্য ১০০ টন চাল ও নগদ ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন