ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

শরীয়তপুরে বিএনপি নেতা হলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২০ মে ২০১৯

শরীয়তপুরে বিএনপি নেতা হলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক

শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নে বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার নাম মোঃ মিজান খান। তিনি সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য। এতে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের ‍সৃষ্টি হয়েছে।

জানাযায় ২০০১- ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপির দুঃশাসনের সময় এই এলাকার কিছু সংখক বিএনপি নেতা কর্মীরা আওয়ামী নেতা কর্মীদের নির্যাতন চালাত। খুন, রাহাজানি, ছিনতাই ও চাদাবাজিতে তারা ছিলেন অত্যান্ত বর্বর। অথচ সেই মামলায় ফাসানো হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের। গ্রামের এমন কোনো বাড়ি, বাজারের দোকান নাই যেখানে তারা চাদাবাজি করে নাই। আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা যাদের কারনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সফল করতে পারে নাই। কেউ নতুন জমি, দোকান, বাড়ি ক্রয় করলেও দিতে হয়েছে তাদের চাদা।

আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর ও বঙ্গবন্ধুর ছবি পোড়ানোও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায় আসায় গা বাচাতে  তারা কিছু লোভি, স্বার্থবাদী আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সহায়তায় আওয়ামী লীগে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। তারা টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছে আওয়ামী লীগের পদ পদবী। 
২০০১ সালে শরিয়তপুর জেলা আওয়ামিলীগ এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মুন্সি উকিল ও তার সহোদর মনির মুন্সির খুনের সাথে বিএনপির নেতারা অতপ্রত ভাবে জরিত ছিলেন বলে জানাযায় । 
এবং ২০০২ সালের ট্রিপল মার্ডার নামক মিথ্যা মামলায় ফাসানো হয় সাবেক সাধারন সম্পাদক, শরিয়তপুর জেলা শাখার জনাব আবুল ফজল মাষ্টার ও জনাব নুহুন মাদবর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক, শরিয়তপুর জেলা যুবলীগ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের। এই মামলার বাদী  বিএনপি নেতা আকবর মাদবর, তার ভাই রস্তম মাদবর ও আব্বাস মাদবর ও মামলার অর্থদাতা হচ্ছে অভিযুক্ত মোঃ মিজান খান।

বিএনপি নেতাদের দলে ভেরানোর কাজে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে শরিয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগ এর সহ-সভাপতি ও বর্তমান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল হাসেম তপাদারের বিরুদ্ধে। নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন আত্মীয় হওয়ায় এবং টাকার বিনিময়ে তিনি বিএনপির নেতাদের আওয়ামী লীগে টানছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেন এই ভাবে চলতে থাকলে প্রাণের সংগঠন আওয়ামী লীগের আর্দশ বিচ্যুৎ হবে এবং দলের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান। এইজন্য তারা ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

গাজীপুর কথা