ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

বহিষ্কার-অব্যাহতি নিয়ে চিন্তিত বিএনপি

প্রকাশিত: ১৭:৫৫, ২৪ জানুয়ারি ২০২২

বহিষ্কার-অব্যাহতি নিয়ে চিন্তিত বিএনপি

২০১৯ সালে সাংগঠনিক কার্যক্রম পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অসংখ্য নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। 

অতি সম্প্রতি এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার নাম। যে কারণে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব নেতাকে বহিষ্কারের ফল উল্টো প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। 

পুরো প্রক্রিয়াটি দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে গৃহীত হওয়ার কারণে যেকোনো নেতাই ভেতরে ও বাইরে এ বিষয়ে নিজ নিজ অবস্থান স্পষ্ট করা থেকে বিরত রয়েছেন।

গত কয়েক মাসে কমিটি গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে নিজেদের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দিয়েছে বিএনপি। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে আলাপকালে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

বরিশালে বিএনপির কমিটির কোনো পর্যায়েও রাখা হয়নি মজিবুর রহমান সরোয়ারকে। কমিটি পুনর্গঠনের প্রতিক্রিয়ার জের ধরে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে খুলনার পরিচিত নেতা কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে। কুমিল্লার মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে গত বছরের ২৮ অক্টোবর অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ বছরের ১৮ জানুয়ারি মেয়র নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও পরবর্তী সময়ে প্রতিপক্ষ সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে মিষ্টি-বিনিময়ের জের ধরে বহিষ্কৃত হন নারায়ণগঞ্জে বিএনপির পরিচিত নেতা তৈমুর আলম খন্দকার। 

বহিষ্কারের পাশাপাশি কয়েকজন নেতাকে কোণঠাসা করে রেখেছে বিএনপি। এ তালিকায় রয়েছেন রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু ও সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অব্যাহতি ও কোণঠাসা করে রাখার বিষয়ে আলাপ হয়। 

তারা বলেন, সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গ দেখিয়ে তাদের অব্যাহতি বা দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিকভাবে বিএনপিই ক্ষতির মুখে পড়বে। বিশেষত, যাদের বাদ দেওয়া হচ্ছে বা বসিয়ে রাখা হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নেতা। এ কারণে সাংগঠনিকভাবে প্রভাব না পড়লেও রাজনৈতিকভাবে আদতে দলের ক্ষতিই হবে। এর পুরো দায় তখন শীর্ষ নেতৃত্বের দিকেই যাবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন নেতা বলেন, আমি তো ভীত। কারণ, যাদের অব্যাহতি, বহিষ্কার বা বসিয়ে রাখা হচ্ছে, তারা তো সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য। সেক্ষেত্রে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের ‘বিএনপি হিসেবে’ পরিচিত করানোর আশঙ্কা কিন্তু থেকেই যায়।

গাজীপুর কথা