রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ বরাবরই সফলতার সাথে এগিয়ে চলেছে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা জাতিসংঘের এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার অর্জন করায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল-এর আহ্বানে আনন্দর্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই আনন্দর্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এক বিবৃতিতে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন বাঙালি জাতি পৃথিবীর বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াবে। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই মুকুট মণি উপাধি প্রাপ্তির মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশকে মর্যাদাশীল আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এর জন্য আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, প্রিয় নেত্রীকে মুকুট মণি উপাধিতে ভূষিত করেছেন “আর্থ ইনস্টিটিউট, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল মাস্টার্স অফ ডেভেলপমেন্ট প্র্যাক্টিস এবং ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক।” এ থেকে বোঝা যায় আজ বিশ্ব দরবারে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কতখানি সফল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এই অনার এই সম্মান জাতি হিসেবে আমাদের মুখ উজ্জ্বল হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে পরিচিত করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমান ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্ররা এই দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। এই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল জিয়াউর রহমানরা। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা স্বদেশে ফিরে আসার পর ধীরে ধীরে আজকের বাংলাদেশ। তাঁর দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি মাতৃবোধ ও ভালবাসা আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে।
জাতিসংঘ কর্তৃক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার দেওয়ায় আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে আনন্দিত, গর্বিত। আমি মনে করি এই পুরস্কার শুধু শেখ হাসিনার নয়, এই পুরস্কার যুবলীগের, এই পুরস্কার বাঙালি জাতির।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড. মামুনুর রশীদ, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. বদিউল আলম, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মশিউর রহমান চপল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শাহীন মালুম, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুল হাই, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ফজলে রাব্বী স্মরণ, উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মিসির আলি, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, উপ-মহিলা সম্পাদক সৈয়দা সানজিদা শারমীন প্রমুখ।
গাজীপুর কথা