ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

জোবায়ের গ্রুপের জিম্মায় থাকবে বিশ্ব ইজতেমা মাঠ

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

জোবায়ের গ্রুপের জিম্মায় থাকবে বিশ্ব ইজতেমা মাঠ

ইজতেমা মাঠ

গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের সমন্বিত কয়েক দফা বৈঠক শেষে মঙ্গলবার তবলীগ জামাতের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান আলেমওলেমা গ্রুপ জোবায়ের পন্থীদের জিম্মায় বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার ইজতেমা মাঠ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা এনডিসি আব্দুল্লাহ নূর, গাজীপুর মেট্রোপলিটন দক্ষিণ পুলিশের উপকমিশনার মাহবুব উজ্জামান, সহকারী উপকমিশনার মেহেদী হাসান, টঙ্গী পূর্ব পশ্চিম  থানার ওসি শাহ আলম।

এর আগে ২২ জানুয়ারি আদি তাবলীগ জামাতের বর্তমান শীর্ষ মুরুব্বি ভারতের নয়াদিল্লির মাওলানা সাদ অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমা শেষে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান ইজতেমা ময়দান বুঝে নিয়েছিলেন। আগামী বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠানের আগ পর্যন্ত জোবায়ের পন্থীরা ইজতেমা মাঠের দেখভালের দায়িত্বে থাকবেন।

দু’পক্ষের মধ্যে কোনরকম সংঘাত এড়াতে স্থানীয় এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, প্রশাসনের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান ও পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামের সার্বিক সহযোগিতা এবং উদ্যোগে গ্রহণ করেন আগামী এক বছর ইজতেমার মালসামানা ও ইজতেমা মাঠ জোবায়ের পন্থীদের জিম্মায় থাকার। 

এর আগে এমনসব জটিলতা নিরসনে গত শুক্রবার গভীর রাতে ইজতেমা আয়োজক কমিটির দুই পক্ষের শীর্ষ মরুব্বিদের নিয়ে টঙ্গীর নিজ বাসভবনে বৈঠক করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। 

সাদপন্থীদের ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়কারী সায়েম বলেন, ‘সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমাদের মুরব্বিরা আলোচনা করছেন। আগামী বছরের ইজতেমার প্রথম পর্ব আমরা আয়োজন করার প্রস্তাব রেখেছি।

জুবায়েরপন্থীদের ইজতেমা ময়দানের জিম্মাদার মাওলানা আব্দুল্লাহ শামিম বলেন, ‘আমরা আজ ময়দান পুনরায় বুঝে নিয়েছি। আগামী ইজতেমা পর্যন্ত ময়দানের সব মালামাল আমাদের তত্ত্বাবধানে থাকবে। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা আয়োজনে আমাদের মালামাল ময়দানের উত্তর-পশ্চিম অংশের নির্ধারিত (পাকিস্তানের মুসল্লিদের জন্য থাকার স্থান) স্থানে কক্ষটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।’

জুবায়েরপন্থী শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ হান্নান বলেন, ‘গাজীপুর জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিদল ও পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ইজতেমা ময়দান আমাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে মাওলানা  সাদ পন্থীদের দাবি ছিল মাঠটি যেন তাঁদের জিম্মায় দেয়া হয়।