চালু হচ্ছে বিআরটি উড়াল সেতুর ৫ লেন
সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বিবেচনায় শিগগিরই খুলে দেয়া হতে পারে বাস র্যাপিট ট্রানিজিট বা বিআরটি প্রকল্পের একাংশ। ঢাকা-গাজীপুর সড়কের টঙ্গী ব্রিজ ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে, আর এ কারণেই যাতায়াতের বিকল্প মাধ্যম হিসেবে বিআরটির একাংশ খোলার পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের।
টঙ্গীর স্টেশন রোড থেকে হাউজ বিল্ডিং। দ্রুতগতির গাড়ির জন্যেই তৈরি হচ্ছে এই দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামো। নানা জটিলতার পর গতি ফিরেছে কাজে।
অন্তত ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা থাকা, উচু-নিচু এবড়ো থেবড়ো রাস্তার ঝক্কি ঝামেলার সমাপ্তি হতে যাচ্ছে।
বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প পরিচালক মহিরুল ইসলাম খান বলেন, “হাউজ বিল্ডিং থেকে টঙ্গির ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত ২.৩ কিলোমিটারের উড়াল সেতু। এটা প্রস্তুত করা হয়েছে খুলে দেওয়ার জন্য।”
মেগাসিটি রাজধানী ঢাকায় প্রবেশের অন্যতম ব্যস্ত করিডোর গাজীপুর-টঙ্গি-আব্দুল্লাপুর-এয়ারপোর্ট এই সড়কটিতে বাস র্যাপিট ট্রানজিটের মতো একটি মেগাপ্রকল্পের বাস্তবায়ন যেমন ছিল চ্যালেঞ্জে ভরা ঠিক তেমনিভাবে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে নাগরিকদের। প্রকল্পটির কাজ এখনও চলমান কিন্তু এরমধ্যেই এই প্রকল্পের সুবিধা নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দিতে এর একটি অংশ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার।
তবে এক্ষেত্রে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন যে এ অংশটি যারা ব্যবহার করবেন তাদেরকে কিছুটা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে টঙ্গির সেতুর কাছে যে অংশটি রয়েছে সেখানে একটি অস্থায়ী ওয়াল দেওয়া রয়েছে। এখানে চালকরা যেন কিছুটা সতর্কতা নিয়ে তাদের গাড়িগুলো চালিয়ে চলে যান।
শতবর্ষী টঙ্গী ব্রিজ ভেঙ্গে ফেলা হবে, বিকল্প হিসেবে বিআরটির ১০ লেনের উড়াল সেতুর ৫টি লেন উন্মুক্ত হচ্ছে।
মহিরুল ইসলাম খান বলেন, “টঙ্গির ব্রিজ অংশের ৯০ মিটারের ৫ লেন ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকি পাঁচ লেন পূর্বদিকে বানাতে হবে।”
প্রকল্পের পরিকল্পনায় বিমান বন্দর থেকে গাজীপুর ২০ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার পথে প্রতিঘন্টায় ২০ হাজার মানুষ চলাচল করতে পারবে। নকশাসহ নির্মাণের বিভিন্ন জটিলতায় প্রকল্পটি ৪ বছরের স্থলে ১১ বছরে পৌঁছেছে। আর খরচ বেড়েছে ১শ’ ৯ গুন।