সংগৃহীত
গাজীপুরের টঙ্গীতে খোদ কৃষকদের উৎপাদিত বিষমুক্ত পণ্য বিক্রির জন্য আউচপাড়ার সফিউদ্দিন রোডে বাজার বসানো হয়েছে। সেখানে কোনো মধ্যসত্ত্বভোগী নেই। কৃষকরাই উৎপাদক, তারাই বিক্রেতা। প্রতি শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে এই বাজারের বেচা কেনা শুরু হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডস দূতাবাস, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের সম্মিলিত উদ্যোগে বাজারটি উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বাজারটি ঘুরে দেখা গেছে, সফিউদ্দিন রোডে কৃষকদের জন্য আলাদা আলাদ ভাবে বসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিচে ত্রিপাল বিছিয়ে আর উপরে ১০টি বড় ছাতারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। টঙ্গীর গুটিয়া, মুদফা ও আলারুল এলাকার কৃষকরা এই বাজারে তাদের উৎপাদিত শাক সবজি ও ফল মুল নিয়ে এসেছেন। প্রায় প্রত্যেকটি দোকানে ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে। কৃষকদের বাজারে বিষমুক্ত সবজি ও ফল কিনতে ভিড় করছে টঙ্গী এলাকার মানুষ। এদিকে কৃষকরা বলছেন বেচা বিক্রি ভালো হচ্ছে।
কৃষকদের বাজারে বাজার করতে আসা টঙ্গী ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার সহকারী অধ্যপক মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, এই বাজারে সব পণ্য টাটকা। অন্য বাজারের তুলনায় দামে কম। যারা বিক্রি করছেন তাদের নিজেদেরই উৎপাদিত পণ্য।
সাতাইশ গুটিয়া থেকে এসেছেন কৃষক শফিক মিয়া। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় তার খেতের ফসল বিক্রি করছেন। এই বাজার হওয়ার পর দুই শুক্রবার ফসল ভালোই বিক্রি হচ্ছে। ডাটা ২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪৫ টাকা, করলা ৫৫ টাকা, ধুন্দল ৪৫, লাউ ৫০ টাকা ও কলা ৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, আমার ফসলে কোনো রাসায়নিক নেই। জৈবসার ব্যবহার করা হয়।
মুদাফা এলাকার কৃষক ফরিদ মিয়া বলেন, আগের দিন খেত থেকে ফসল উঠাই। শুক্রবার এই কৃষকদের বাজারে বিক্রি করি। এখানে দোকানভাড়া লাগে না। সরকার আমাদের সুযোগ দিয়েছে নিরাপদ সবজি উৎপাদন করার জন্য। তবে সাপ্তাহে ৭ দিনের বাজার হতো তাহলে কৃষকরা অনেক লাভবান হত।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন মোল্লা বলেন, অর্গানিক পণ্য নিশ্চিত করা কঠিন কিন্তু বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি নিশ্চিত করা সহজ। কৃষকের বাজারে কৃষকদের সব সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষক ও পণ্যের মান নিশ্চিত করতে হবে। সিটি করপোরেশনকে সম্পৃক্ত করা হলে কৃষকের বাজারকে টেকসই করা সম্ভব।