ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুরের টঙ্গীতে র্যাবের কাছ থেকে আটক আওয়ামী লীগ নেতা কবির উদ্দিন বেপারিকে (৫০) ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার সহোদর বিএনপি নেতা দুই ভাই ও তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল জাহিদ ছিনিয়ে নেওয়ার কথা সরাসরি না বললেও ‘এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেন। এর আগে রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টায় টঙ্গী আনারকলি সিনেমা সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
কবির উদ্দিন বেপারি গাজীপুর মহানগরীর ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং টঙ্গীর বউ বাজার এলাকার মৃত আক্কাস আলী বেপারির ছেলে। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা তার ভাই একই ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হালিম উদ্দিন বেপারি ও যুব বিষয়ক সম্পাদক সমির উদ্দিন বেপারি।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত ৮টার দিকে র্যাব-১ টঙ্গীর বউ বাজার এলাকায় অভিযান চালায়। র্যাব সদস্যরা আওয়ামী লীগ নেতা কবির উদ্দিন বেপারিকে তার বাসা থেকে আটক করে রাজধানীর উত্তরার র্যাব কার্যালয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। খবর পেয়ে তার দুই ভাই বিএনপি নেতা হালিম উদ্দিন বেপারি, সমির উদ্দিন বেপারি, ভাগিনা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আরিফুল ইসলাম বাপ্পি ও তাদের সমর্থকদের নিয়ে টঙ্গী আনারকলি সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকায় র্যাবের গাড়ি আটকে দেয়। সেখানে তারা র্যাবকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা র্যাবের গাড়ি থেকে ভাই আওয়ামী লীগ নেতা কবির উদ্দিন বেপারিকে ছিনিয়ে নেন।
ঘটনাস্থলের পাশের বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, একদল লোক র্যাবের গাড়ি আটক করে জোরপূর্বক কবির উদ্দিন বেপারিকে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়। পরে তারা মিছিলসহ টঙ্গী বাজারের ভেতরের গলি দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এই বিষয়ে জানতে কবির উদ্দিন বেপারির মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযুক্ত ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হালিম উদ্দিন বেপারি দাবি করেন, কবির আমার বড় ভাই। তিনি দলমত নির্বিশেষে সবার বিপদে সহযোগিতা করে থাকেন। র্যাবের কাছ থেকে উনাকে ছিনিয়ে নেওয়ার তথ্য সঠিক নয়। আমার ভাই সবার বিপদে নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে আসার কারণে সবাই র্যাবের কাছে যায়। র্যাব সবার কথা শুনে বুঝতে পারে তিনি ভালো লোক। পরে স্বেচ্ছায় তাকে রেখে চলে যায়।