ঢাকা,  মঙ্গলবার  ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

টঙ্গীতে শ্রমিক বিক্ষোভ-ভাঙচুর, ১১ কারখানায় ছুটি ঘোষণা

প্রকাশিত: ১৩:২৮, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টঙ্গীতে শ্রমিক বিক্ষোভ-ভাঙচুর, ১১ কারখানায় ছুটি ঘোষণা

ছবি- সংগৃহীত

চাকরির দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিক্ষোভ, কারখানায় ভাংচুর করেছেন চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টঙ্গীর বিসিক এলাকায় এ বিক্ষোভে যোগ দেয়। এ সময় চাকরিচ্যুত বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ১১টি পোশাক কারখানায় ভাঙচুর চালায়।

এতে চাকরিচ্যুত দুজন শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। পরে আন্দোলনকারীরা আহত বাদশা মিয়াকে (২১) উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেন। এ ঘটনায় অপর এক নারী শ্রমিক আহত হলেও তিনি নিজ বাসায় ফিরে যান। তার নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

জানা যায়, সোমবার সকালে নিজ নিজ কারখানায় কাজে যোগ দেন টঙ্গীর বিসিক এলাকার সব পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চাকরিচ্যুত প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক কয়েক ধাপে ১১টি পোশাক কারখানার গেটে অবস্থান নেন। পরে কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের তাদের (চাকরিচ্যুত) সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিতে আহবান জানান। এ সময় কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের ডাকে সাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানান। 

এতে চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা ১১টি কারখানায় ভাঙচুর চালান। নিজ কারখানায় ভাঙচুর ঠেকাতে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ভাঙচুর এড়াতে ওই ১১টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। 

দুপুর ২টার দিকে কারখানাগুলোতে ছুটি ঘোষণা করলে চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা টঙ্গীর বিসিক এলাকার পানির ট্যাংকি এলাকার শাখা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা টঙ্গী বিসিক এলাকার শাখা সড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে রাখেন।

চাকরিচ্যুত শ্রমিক মো. রনি বলেন, আমরা কয়েক সপ্তাহ আগেও বিক্ষোভ করেছিলাম। কারখানাগুলোতে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। আজ চাকরিতে থাকা শ্রমিকরা আমাদের সঙ্গে যোগ দেননি। আমরা সড়কে বসে আছি। আমাদের দাবি না মেনে নিলে কোনো গার্মেন্টস শ্রমিকদের ঢুকতে দেওয়া হবে না।

একটি কারখানার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (মানবসম্পদ) হেমায়েত উদ্দিন বলেন, সকালে বহিরাগতরা কারখানার সামনে জড়ো হয়ে কারখানার প্রধান ফটকে ভাঙচুর চালান। ভাঙচুর ও ক্ষতি এড়াতে কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছি।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশারফ হোসেন বলেন, চাকরিতে বৈষম্য ও পুরুষ শ্রমিকদের নিয়োগে অগ্রাধিকারের দাবি জানিয়ে কয়েকশ চাকরিচ্যুত শ্রমিক ১১টি কারখানায় ভাঙচুর চালান। বিক্ষুব্ধরা টঙ্গীর বিসিকের একটি সড়কে অবস্থান নেন।