
সংগৃহিত ছবি
বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে গাজীপুরের টঙ্গীতে শান্তি সমাবেশ করা হয়েছে। রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় চেরাগআলী এলাকায় ট্রাকস্ট্যান্ডে এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করেন টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন।
টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রজব আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যারা রোড বন্ধ করে আমার বিরুদ্ধে জুতার মিছিল করিয়েছেন তাদের উচিত জবাব দেওয়া হবে। তাদের কুকীর্তির আমলনামা প্রস্তুত আছে। আমরা সমাবেশ করে জনগণের কাছে তা তুলে ধরবো।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল আমীন, গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এমএম হেলাল উদ্দিন, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওসমান গনি কাজল, গাসিক সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রাখি সরকার, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব আজমেরি খান টুটুল, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রশিদ, ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন প্রমুখ।
গাজীপুর সিটির ৫৭টি ওয়ার্ড থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী শান্তি সমাবেশে যোগদান করেন। সমাবেশস্থলে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে।
নেতাকর্মীরা বলেন, গাজীপুরের পাঁচটি আসনই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়া হবে। গাজীপুর ২ আসনে জাহাঙ্গীর আলমকে নৌকা উপহার দেওয়া হলে তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে উপহার দেওয়া হবে। বিশাল সমাবেশই প্রমাণ করে জাহাঙ্গীর আলমের জনপ্রিয়তা। জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুরের জনগণের প্রিয় নেতা। সমাবেশে ইতিহাস রচনা করা হয়েছে। জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে জাহাঙ্গীর আলমের জনপ্রিয়তা।
সমাবেশে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, টঙ্গীতে যা উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে তা শেখ হাসিনা করেছেন। বস্তিবাসীকে টেন্ডারের মাধ্যমে উঠিয়ে দিতে চায় টঙ্গীর কিছু নেতা। সন্ত্রাসী, মাদক ও ছিনতাইকারীদের কাছে মাথা নত করা হবে না। দাসত্বের এই শৃঙ্খল থেকে গাজীপুর ২ আসনকে মুক্ত করে ছাড়বো।