ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

শ্রীপুরে টিউলিপ বাগান পরিদর্শনে নেদারল্যান্ডের উপ রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত: ১৮:৪১, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

শ্রীপুরে টিউলিপ বাগান পরিদর্শনে নেদারল্যান্ডের উপ রাষ্ট্রদূত

শ্রীপুরে টিউলিপ বাগান পরিদর্শনে নেদারল্যান্ডের উপ রাষ্ট্রদূত

শ্রীপুরের কেওয়া পূর্বখণ্ড গ্রামের সফল উদ্যোক্তা দেলোয়ারের মৌমিতা ফ্লাওয়ার প্রোডাক্টের টিউলিপ বাগান পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের উপ রাষ্ট্রদূত দাইজ ওজট্রা।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাগান পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, চমৎকার ফুল ফুটেছে। মনে হচ্ছে নিজের দেশ নেদারল্যান্ডসে ফিরে গেছি। এখানে বিভিন্ন রঙের প্রচুর ফুল ফুটেছে। বাংলাদেশি পরিবেশে বাগানটি দেখে ভীষণ ভালো লাগছে।

পরিবেশগত কারণে বাংলাদেশে টিউলিপ ফোটার সময় নেদারল্যান্ডসে ফুলটি থাকে না। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে নেদারল্যান্ডসে টিউলিপ রপ্তানির সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে নেদারল্যান্ডসের উপ রাষ্ট্রদূত দাইজ ওজট্রা বলেন, রপ্তানির সুযোগ আছে। তবে এ ক্ষেত্রে দাম কম পাওয়ার আশঙ্কা আছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ইউরোপে টিউলিপের দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। সেখানে প্রচুর টিউলিপের ফার্ম আছে। তবে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশে এই ফুল রপ্তানি করলে ভালো দাম পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেন তিনি। তবে তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে ফুলটির ব্যাপক চাহিদা থাকায় স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যাবে।

নেদারল্যান্ডসের উপ রাষ্ট্রদূত দাইজ ওজট্রা বলেন, দেলোয়ার হোসেন ও সেলিনা হোসেন বাংলাদেশে টিউলিপ ফুল চাষ করে অসাধারণ কাজ করেছেন। এক দিন বাংলাদেশের সব জায়গায় টিউলিপ ফুল চাষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সকালে তিনি টিউলিপ বাগান পরিদর্শনে এসে বাগানটির উদ্যোক্তা দেলোয়ার হোসেন ও সেলিনা হোসেনের সাথে ছবি তোলেন। তিনি টিউলিপ বাগানটি ঘুরে ঘুরে দেখেন। এ সময় সেখানে আসা দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলে নতুন এই ফুল সম্পর্কে তাদের অনুভূতি জেনেছেন তিনি।

শ্রীপুরের কেওয়া পূর্বখণ্ড গ্রামে দেলোয়ার হোসেন ও সেলিনা হোসেন দম্পতি চতুর্থবারের মতো টিউলিপ ফুলের চাষ করেছেন। এ বছর তাদের বাগানে ১২ জাতের ৭০ হাজার টিউলিপ ফুল ফুটেছে। একই সাথে দেশের আরো কয়েকটি জেলায় তাদের ব্যবস্থাপনায় ফুলের বাল্ব সরবরাহ করে সেখানেও চাষ সম্প্রসারণ করেছেন তারা। ২০২০ সালে ১ হাজার বাল্বের মাধ্যমে টিউলিপের পরীক্ষামূলক চাষাবাদ শুরু করেছিলেন এই দম্পতি। প্রথম বছরেই ব্যাপক সফলতা পান। এরপর দেশীয় পরিবেশ বিবেচনায় নতুন কিছু জাতের বাল্ব আমদানি করেন। সেই বাল্বে দ্বিতীয় বছরেও ফুল ফুটিয়ে সফল হন।