ঢাকা,  বুধবার  ২৪ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

জাল সনদে ১১ বছর শিক্ষকতা, অতঃপর...

প্রকাশিত: ১২:১৫, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

জাল সনদে ১১ বছর শিক্ষকতা, অতঃপর...

জাল সনদে ১১ বছর শিক্ষকতা, অতঃপর...

গাজীপুরের শ্রীপুরে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিবন্ধনের জাল সনদ দিয়ে ১১ বছর চাকরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

শিক্ষকের সনদ জাল জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি। পরে নিরীক্ষা অধিদপ্তরের চিঠি পেয়ে ১৭ লাখ টাকা ফেরত চেয়ে কারণ দর্শনোর চিঠি দেওয়া হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষককে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম জোবায়েত হোসেন (আদিল)। জোবায়েত হোসেন ওই বিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি উপজেলার ধামলই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি চিঠি পেয়েছি। গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির এক সভা করে ওই শিক্ষককে ১১ বছর যাবত উত্তোলন করা বেতনসহ বিভিন্ন ভাতা ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কারণ দর্শানো নোটিশও দেওয়া হয়েছে। কারণ দর্শানো নোটিশের আশানুরূপ জবাব না পেলে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, জোবায়েত হোসেন (আদিল) শিক্ষক নিবন্ধনের জাল সনদ দিয়ে ২০১১ সালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরিতে যোগ দেন। ২০১৪ সালে তিনি এমপিওর অন্তর্ভুক্ত হন। ৮ বছর ধরে সরকারি বেতন-ভাতা ভোগ করছেন। দীর্ঘ সময়ে অবৈধভাবে উত্তোলন করেছেন প্রায় ১৭ লাখ টাকাও অধিক সরকারি বেতন-ভাতা।

ধামলই উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ওমর ফারুক পালোয়ান বলেন, মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার পরিচালনা পর্ষদের সব সদস্যরা মিটিংয়ে কাগজপত্র দেখে সনদ জালের বিষয়টির সত্যতা পায়। পরে বেতন-ভাতা স্থগিত করা হয়। শিক্ষকের জাল সনদপত্রের বিষয়টির জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে তাকে বিদ্যালয়ের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।  

কারণ দর্শানোর নোটিশের সঠিক জবাব না পেলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। আর ওই শিক্ষক এতদিন সরকারি যত ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন সেগুলো সরকারি কোষাগারে এককালীন ফেরত দেওয়ার জন্য চিঠিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুল আমীন বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠির মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য  প্রধান শিক্ষককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

শিক্ষক জোবায়েত হোসেনকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন করলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্কুল এবং বাড়িতে গিয়েও ওই শিক্ষকের সাক্ষাৎ না মেলায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।