ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

শ্রীপুরে জাল সনদে ১১ বছর চাকরি স্কুলশিক্ষকের

প্রকাশিত: ১৭:৪৩, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

শ্রীপুরে জাল সনদে ১১ বছর চাকরি স্কুলশিক্ষকের

জাল সনদ

গাজীপুরের শ্রীপুরে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদ দিয়ে ১১ বছর চাকরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমপিওভুক্তির পর গত আট বছরে প্রায় ১৬ লাখ টাকা সরকারি বেতনভাতা অবৈধভাবে উত্তোলন করেছেন তিনি। এ ঘটনা ঘটেছে কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই উচ্চবিদ্যালয়ে।

জোবায়েত হোসেন ওই বিদ্যালয়ে জীববিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি উপজেলার ধামলই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছি। স্কুল কমিটির সভা করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

জানা যায়, জোবায়েত হোসেন শিক্ষক নিবন্ধনের জাল সনদ দিয়ে ২০১১ সালে ধামলই উচ্চবিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি গ্রহণ করেন। ২০১৪ সালে তিনি এমপিওর অন্তর্ভুক্ত হন। আট বছর ধরে সরকারি বেতনভাতা ভোগ করছেন।

১১ বছর ধরে ওই শিক্ষক জাল সনদ দিয়ে চাকরি করলেও স্কুল সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি উদঘাটন করতে পারেনি। প্রায় দুমাস আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয় জোবায়েত হোসেন শিক্ষক নিবন্ধনের জাল সনদ দিয়ে চাকরি করছেন। তার ভোগ করা বেতনভাতা ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের চিঠির নির্দেশনা মানেননি প্রধান শিক্ষক। আগস্ট মাসেও ওই শিক্ষকের বেতনভাতা দেওয়া হয়। অজ্ঞাত কারণে দুমাস পরেও নেওয়া হয়নি কোনো আইনি ব্যবস্থা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জোবায়েত হোসেন শিক্ষক নিবন্ধনের জাল সনদ দিয়ে চাকরি নিয়েছেন এটি আমার জানা ছিল না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়ে জাল সনদের বিষয়টি জানতে পেরেছি।

মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়ে বিষয়টি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা মাধমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি। কেন যথাযথ ব্যবস্থা নেননি এবং দেরি হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন শীঘ্রই ব্যবস্থা নেব। তিনি আরও বলেন, ওই শিক্ষক সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত আছেন। ডাকযোগে ছুটির আবেদন পাঠিয়েছেন। তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি।

স্কুল এবং বাড়িতে গিয়েও শিক্ষক জোবায়েত হোসেনের দেখা মেলেনি। একাধিকবার মোবাইলে ফোন করলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুল আমীন জানান, শিক্ষক জোবায়েদ হোসেনের নিবন্ধনের জাল সনদের বিষয়টি জেনেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।