ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুরের শ্রীপুরে পরকীয়া প্রেমের জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর ঘরের মেঝেতে মরদেহ ফেলে রেখে কন্যাশিশুকে নিয়ে পালিয়েছেন স্বামী।
সোমবার দুপুরে দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ধনুয়া গ্রামের এনামুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম তামান্না আক্তার (১৯)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার বাড়া গ্রামের মো. আলতাফ হোসেনের মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে তিনি শ্রীপুরে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
ঘাতক স্বামী মো. সামিউল ইসলাম (২৭) ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে। তিনি গাজীপুর ইউনিয়নের ডিবিএল পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
নিহতের ছোটবোন তাহেরা বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে আমার দুলাভাই অন্য এক মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলতেন। এ নিয়ে প্রায় তাদের দুজনের মধ্যে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হতো। রবিবার আপা আমাকে ফোন দিয়ে তাদের বাসায় আসতে বলে। এরপর আমি আপার বাসায় আসি। আসার পর আমার আপা আমাকে দুলাভাইয়ের বিষয়ে বিচার দেয়। এক মেয়ের সঙ্গে দুলাভাইয়ের ছবি দেখায়।
এরপর আমার সামনেই তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি শুরু হয়। এসময় দুলাভাই বারবার আপাকে খুন করার কথা বলে হুমকি দেয়। রাত আটটার দিকে দুজন না খেয়ে শুয়ে পড়লে আমি নিজের বাসায় চলে আসি। এরপর আমি আজ ডিউটি শেষ করে দুপুরের দিকে আপার বাসায় যেয়ে দেখি মেঝেতে আমার আপার মরদেহ পড়ে রয়েছে। ঘরে দুলাভাই ও দেড় বছর বয়সি আমার ভাগনি জান্নাত নেই।
এরপর দুলাভাইয়ের মোবাইল ফোনে কল দিলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আমার ধারণা, দুলাভাই আপাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর মেয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কুমার কর বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। স্ত্রীর মরদেহ ঘরের মেঝেতে ফেলে স্বামী শিশুকন্যাকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।’