ছবি- সংগৃহীত
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি আঞ্চলিক সড়কের মাঝে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ও একটি নারিকেল গাছ রেখেইে সংস্কার কাজ শেষ করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এতে এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন রেয়েছে চরম ঝুঁকিতে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সড়ক দিয়ে ভয় নিয়ে চলাচল করেন লোকজন পরিবহন চালকরা।
এমন একটি সংস্কারকৃত সড়কে বিদ্যুতের খুঁটি ও জ্যান্ত গাছ রেখেই সংস্কার কাজ শেষ হলেও ক্ষুদ উপজেলা প্রকৌশলী জানেনা না ব্যাপারটা। তবে দ্রুত সড়ক থেকে গাছ ও খুঁটি সরানোর ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আঞ্চলিক সড়কের মাঝে খুঁটি ও গাছের এমন চিত্র চোখে পড়ে উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের দমদমা আঞ্চলিক সড়কের চিনাশুখানিয়া গ্রামে। সম্প্রতি ওই গ্রামের মোড়ল বাড়ি থেকে মানিক মিয়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের সংস্কারকাজ শেষ হয়।
স্থানীয়রা জানায়, চিনাশুখানিয়া গ্রামের মোড়ল বাড়ি থেকে মানিক মিয়া ব্রিজ এলাকার দিকে এ আঞ্চলিক সড়কের ৪ কিমি সংস্কার কাজ করে মেসার্স সালাম অ্যান্ড দুর্গা কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। মানিক মিয়া ব্রিজের দিকে আগালে ১ কিমি পরেই সড়কে এ বৈদ্যুতিক খুঁটি ও একটি নারিকেল গাছ চোখে পড়ে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়িত্বহীনভাবেই সড়কের মাঝে বিদ্যুতের একটি খুঁটি ও একটি জ্যান্ত নারিকেল গাছ রেখেই সংস্কার কাজ শেষ করে চলে গেছে।
তারা বলেন, রাতে এ সড়কে চলাচল করতে ভয় লাগে। কখন যে দুর্ঘটনা ঘটে। সড়কের যে স্থানে গাছ ও খুঁটি সেখানে আবার সড়ক একটু বাঁক নিয়েছে। তাই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে স্থানটি। এ সড়কে মোটরসাইকেল, ছোট পিকআপ, অটোরিকশা, সিএনজি নিয়মিত চলাচল করে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে সবাইকে।
রাজাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল বলেন, বেশ কয়েকবার পল্লীবিদ্যুতের ডিজিএমের (রাজেন্দ্রপুর) সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে আবেদন না করলে এমন কাজ সম্পন্ন করা যায় না। তাই এলজিইডিকে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে এ খুঁটি সরানোর জন্য একটি আবেদন করতে হবে। এরপর সরানোর প্রক্রিয়া চালু হবে।
আবদুস সালাম অ্যান্ড দুর্গা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক আবদুস সালাম বলেন, খুঁটি সরানোর জন্য কোনো বাজেট আমাদের কাজে ধরা ছিল না। তাই খুঁটি সরানো হয়নি। আর নারিকেল গাছটি বিদ্যুতের খুঁটি লাগোয়া, তাই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে গাছটিও সরানো যায়নি।
শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী আবদুস সামাদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। পরে জানতে পেরে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কাজ শুরু করেছি। আশাকরি পল্লীবিদ্যুৎ আমাদের দ্রুত সহযোগিতা করবে। সড়কটি নিরাপদ হবে।