
সংগৃহীত ছবি
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এমসি বাজার এলাকায় “তাকওয়া পরিবহনের” একটি চলন্ত মিনিবাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে এক নারীকে হত্যার অভিযোগে বাসটির চালক ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কংকন কুমার বিশ্বাস।
গ্রেপ্তার চালক মো. নজরুল ইসলাম (৩৮) শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানার আয়নাপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে ও বাসের সুপারভাইজার মো. জয়নাল (২৮) ময়মনসিংহের পাগলা থানার বিল মাখল গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।
ওসি জানান, শুক্রবার রাতে চম্পা বেগম নামের এক নারীকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে হাইওয়ে পুলিশ বাসের অভিযুক্ত চালক ও সুপার ভাইজারকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। সবেশষ গত রোববার দিবাগত রাতে মাওনা হাইওয়ে থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের শ্রীপুরের নয়নপুর থেকে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে তাকওয়া পরিবহনের মিনিবাসে উঠেন ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার নিজগাঁও গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী ও চান্দুরা সুরুজ আলীর মেয়ে চম্পা বেগম (৩২)। চম্পা স্বামীর সাথে শ্রীপুর পৌর এলাকার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত।
নিহতের স্বজনরা জানান, চম্পার ছোট বোন পার্শ্ববর্তী নয়নপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থেকে গার্মেন্টসে কাজ করে। শুক্রবার ছোট বোনের বাড়িতে তাদের বাবা বাড়ি থেকে বেড়াতে আসলে চম্পাও বাবার সাথে দেখা করার জন্য ছোট বোনের বাড়িতে যায়। বাবার সাথে দেখা-সাক্ষাৎ শেষে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি যাওয়ার জন্য নয়নপুর থেকে বাসে উঠে সে।
স্বজনদের দাবি বাসটি কিছুদুর যাওয়ার পর বাসের সহকারীর সাথে কোন এক বিষয় নিয়ে বিতন্ডা শুরু হলে তাকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়।
পরদিন নিহতের ভাই জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় সড়ক পরিবহন আইনে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।