ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৮ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

পরাজয় আমার কারণে, প্রধানমন্ত্রী তা মনে করেন না: আজমত উল্লা

প্রকাশিত: ০০:৪১, ২ জুন ২০২৩

পরাজয় আমার কারণে, প্রধানমন্ত্রী তা মনে করেন না: আজমত উল্লা

ফাইল ছবি

মানুষ নির্বাচনে পরাজিত হলে মুখ লুকায়। আমি পরাজিত হয়েও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, কথা বলছি। নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ আমাকে ভালোবাসে, তারা আমাকে ভোট দিয়েছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মহানগরীর টঙ্গীতে নিজ বাস ভবনে আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান। 

আজমত উল্লা বলেন, নির্বাচনের ফলাফল পাওয়ার পর গত ২৮ মে প্রধানমন্ত্রী আমাকে ডেকেছেন। আমার কথা শুনেছেন। তিনি আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। আমার কারণে আমি নির্বাচনে হেরেছি, এটা প্রধানমন্ত্রী মনে করেন না। তিনি বলেন, আমি মনে করি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। তিনি আমাকে যে আদর, স্নেহ করেছেন এটা অতুলনীয়। 

তিনি বলেন, আমার নেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন না যে, শুধু আমার কারণে এই নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে। তিনি মনে করেন, দলের লোক বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, এ কারণেই আমাদের ভরাডুবি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাকে সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছেন। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে, ওনার নির্দেশনা আমি বাস্তবায়ন করব। প্রধানমন্ত্রী আমার অভিভাবক হিসেবে তিনি আমাকে যে পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়েছেন, আমি সে অনুযায়ী আমার কার্যক্রম চালিয়ে যাব। আজমত উল্লা বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। দলের ভেতরে বিশ্বাসঘাতক এবং মীরজাফররা যদি থাকে তাহলে আগামী নির্বাচনেও তারা আমাদের ক্ষতি করতে পারে। আগামী নির্বাচনেও তারা একই ভূমিকা পালন করবে। আর যারা নিবেদিত প্রাণ, যারা দলের জন্য কাজ করেছে, তাদেরকেও মূল্যায়ন করতে হবে। তাই ত্যাগী সৎ এবং নিষ্ঠাবান কর্মীদের নিয়ে একটি শক্তিশালী আওয়ামী লীগ গঠন করাই এখন আমার মূল লক্ষ্য। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাচ্চা ও সাধারণ কর্মীরা সবসময় আমাদের পাশে ছিল, আছে। তাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নাই। সাধারণ মানুষের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নাই। আমার জন্য সান্ত্বনার বিষয় হলো, আমি দুইটি থানায় সভা করেছি। সেখানে একজন কর্মীও দাঁড়িয়ে বলেননি, যে আপনার জন্য আমরা নির্বাচনে হেরেছি। এটাও আমার একটি বড় প্রাপ্তি। দল গোছানোর পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এখন থানা পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করছি। ৯টা থানা কমিটির আলোচনা শেষ করেই আমি পরবর্তীতে আমি ৫৭ ওয়ার্ড পর্যায়ে এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। কেন্দ্রভিত্তিক সকল বিষয়ে পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন আমি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের কাছে উপস্থাপন করব।