ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

নায়ক ফারুকের আসনে উপনির্বাচনে আলোচনায় আজমত উল্লা

প্রকাশিত: ২০:১৬, ২৯ মে ২০২৩

নায়ক ফারুকের আসনে উপনির্বাচনে আলোচনায় আজমত উল্লা

রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন আজমত উল্লা খান। ছবি: পিআইডি

সদ্য শূন্য হওয়া ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী হিসেবে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান। গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে পরাজয়ের পর তাঁকে নিয়ে এমন ভাবনা চলছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।

যদিও আজমত উল্লা খান জানিয়েছেন, তিনি উপনির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী না। তবে দল যদি তাঁকে কোনো জায়গায় মনোনয়ন দেয় তখন অবশ্যই নির্বাচন করবেন।

ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ও গাজীপুরের সন্তান আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে মারা যান। ওই দিন থেকে আসনটিকে শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। সংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সেই হিসাবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই এ আসনের উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সেই নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে জোর আলোচনায় আজমত উল্লা খান।

২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আজমত উল্লা খানকে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু তিনি বিএনপির সমর্থিত এম এ মান্নানের কাছে পরাজিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মেয়র হন জাহাঙ্গীর আলম। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুনের কাছে হারেন আজমত উল্লা। পরাজয়ের পরে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিশ্বাসঘাতকতাকে দায়ী করে আজমত উল্লা খান বলেন, ‘দলীয় নেতা-কর্মীরা আমার সঙ্গে গাদ্দারি করেছে।’

এদিকে নির্বাচনের দুই দিন পরে গতকাল রোববার গণভবনে আজমত উল্লা খানকে ডেকে পাঠান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি আজমত উল্লাকে সান্ত্বনা দেন। সেখানে নেতা-কর্মীদের অনৈক্যের কারণের নৌকার যে ভরাডুবি হয়েছে তার বিষয়েও আজমত উল্লাকে বলেন শেখ হাসিনা। তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন, দলের মধ্যে ঐক্য ছিল না। মনেপ্রাণে সবাই কাজ করে নাই। শেখ হাসিনা আজমত উল্লাকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশনা দেন বলেও জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের একটি সূত্রে জানা গেছে, গাসিকে নৌকার পরাজয়ে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি মনে করছেন দলীয় কোন্দল এবং নির্দিষ্ট একটি পক্ষের বিরোধিতার কারণেই ভরাডুবি হয়েছে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ হিসেবে খ্যাত গাজীপুরে। একই সঙ্গে তিনি পরাজয়ের কারণ বের করতে একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি। এ ক্ষেত্রে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে আজমত উল্লা আওয়ামী লীগ সভাপতির গুড বুকে আছেন বলে সূত্রটি দাবি করেছে।

জানতে চাইলে আজমত উল্লা খান বলেন, ‘ওই ব্যাপারে (উপনির্বাচন) নেত্রীর সঙ্গে কথা হয়নি। এমনকি গাজীপুরের সংসদীয় আসনের প্রার্থী নিয়েও কোনো কথা হয়নি। উনি আমাকে সংগঠনকে শক্তিশালী এবং গোছানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।’