ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ডুয়েটে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত

প্রকাশিত: ১১:১৯, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ডুয়েটে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত

ডুয়েটে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত

‘স্মার্ট গ্রন্থাগার/ স্মার্ট বাংলাদেশ’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে রবিবার বিকেলে দিবসটির উদ্বোধন ঘোষণার মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। বক্তব্যের শুরুতে তিনি মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারি জাতির জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশে যে সংগ্রামের সূচনা হয়েছিলো তার ভিত্তি ছিলো ভাষা আন্দোলন।

অনুষ্ঠানে গ্রন্থাগারের তাৎপর্য তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, বই মানুষের প্রকৃত বন্ধু। বই মানুষের কল্পনাশক্তি জাগ্রত করার মাধ্যমে জ্ঞানের পরিধি বাড়ায়। কোনো একটি জাতিকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে এবং ইতিহাস, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার সম্পর্কে জানার জন্য জ্ঞানচর্চার বিকল্প নেই। আর এই জ্ঞানচর্চার আধার হলো গ্রন্থাগার। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় লাইব্রেরির গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার কারণে গ্রন্থাগারের সেবাদান কার্যক্রম উন্নত থেকে উন্নততর হয়েছে। কেননা, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে মানসিক ও চিন্তাশক্তির উন্নয়ন খুবই জরুরি। তিনি সমৃদ্ধ এসব গ্রন্থাগারকে আরো সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে সবাইকে আহবান জানান।
লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আকরামুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. হিমাংশু ভৌমিক এবং স্বাগত বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. সাহাব উদ্দিন। 

ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান মো. আবু আউয়াল সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব), অফিস প্রধান এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।