ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাজীপুরে ৮ টুকরো লাশের রহস্য উদঘাটন

প্রকাশিত: ০০:০৯, ৫ অক্টোবর ২০২২

গাজীপুরে ৮ টুকরো লাশের রহস্য উদঘাটন

গাজীপুরে ৮ টুকরো লাশের রহস্য উদঘাটন

গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানাধীন পানজোড়া এলাকার গার্মেন্ট কর্মী সবুজ বার্নাড গোছাল (৩২) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাজীপুর।

পুলিশ জানায়, মদপানের দ্বন্দ্বে বন্ধুর হাতে খুন হয়েছেন সবুজ বার্নাড। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত শাহীনুর রহমান শাহীনকে (৩২) খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

শাহীন সাতক্ষীরা জেলার তালা থানার বালিয়া এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি কালীগঞ্জের দক্ষিণ পানজোরা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

পিবিআই গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, কালীগঞ্জ থানার নাগরী ভাষানিয়া এলাকার অমূল্য গনসালভেসের ছেলে ভিকটিম সবুজ বার্নাড গোছাল স্থানীয় পানজোরা অ্যাপারেল গার্মেন্টসে কিউসি পদে চাকরি করতেন। একই সঙ্গে চাকরি করার সুবাদে শাহীনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়। সবুজ বার্নাড বন্ধু শহীনের ভাড়া বাসায় আসা-যাওয়া করতেন। শাহীনের স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে সবুজ বার্নাড প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। কিন্তু জেসমিন ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বিষয়গুলো তার স্বামী শাহীনকে জানিয়ে দিতেন। 

ঘটনার দিন কালীগঞ্জ পানজোড়া এলাকায় সবুজের সঙ্গে শাহীনের দেখা হয়। পরে শাহীনের নতুন চাকরির সংবাদে সবুজ খাওয়ানোর কথা বললে আসামি রাজি হন এবং এক হাজার টাকা দিয়ে ভিকটিমকে মদ আনতে বলেন। 

সবুজ মদ নিয়ে এলে শাহীনের স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে ঘরে মদপান শুরু করেন তারা। এ সময় শাহীন মদ সেবনের সময় মুখে তিতা লাগার কারণে ভিকটিমকে বলেন, এত টাকা দিয়ে তিতা মদ এনেছো কেন? এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে মারামারি হয়। এক পর্যায়ে সবুজের বুকে অভিযুক্ত শাহীন ঘুসি মারলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। পরে লাশ গুমের জন্য লাশ টুকরো টুকরো করে বস্তায় ভরে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন শাহীন। এ সময় তার স্ত্রী গার্মেমেন্টে ছিল। পরদিন বস্তাবন্দি লাশ কালীগঞ্জে পানজোড়া এলাকার বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেন। সবুজ নিখোঁজ থাকায় তার পরিবারের সদস্যরা তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তাদের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেন শাহীন। 

গত ২৮ সেপ্টেম্বর গার্মেন্ট ছুটির পর ভিকটিম বাসায় ফিরে না আসায় পরের দিন তার বাবা অমূল্য গনসালভেস কালীগঞ্জ থানায় ডায়েরি (জিডি) করেন। ১ অক্টোবর সকালে সবুজ বার্নাড গোছালের কর্মস্থল পানজোড়ার পূর্বাচল অ্যাপারেল গার্মেন্টের পাশের জঙ্গল থেকে লাশের বিভিন্ন টুকরো উদ্ধার করে পুলিশ।  এ বিষয়ে ভিকটিমের বাবা অমূল্য গনসালভেস বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।