ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাজীপুরে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৮:৫৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

আপডেট: ২২:৫৩, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

গাজীপুরে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

একরামুল হক জিহাদ

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের গাজীপুর জেলা সংসদের  দপ্তর সম্পাদক একরামুল হক জিহাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাঁদা তুলে সধারন মানুষের সাথে প্রতারনা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, একরামুল হক জিহাদ বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন গাজীপুর সংসদের দপ্তর সম্পাদক ও কাজী আজিমউদ্দিন কলেজের নব গঠিত কলেজ শাখা কমিটির সদস্য। গত রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী সুমন জানান, আমি ছাত্র ইউনিয়ন জামালপুর জেলা সংসদের সাবেক সভাপতি। একরামুল হক জিহাদ ছেলেটি জামালপুরে থাকতে একটি সংগঠনের ও চাকরি এবং জামালপুরে ভর্তি বানিজ্য করে অনেকের থেকে অর্থ আত্মসাত করে পলাতক আছে বলে আমি জানতে পারি। সে জামালপুরে উচ্ছ্বাস নামক একটি সংগঠনে চেয়ারম্যান বলে নিজের পরিচয় দিত।

কিন্তু ছেলেটির বাড়ী কোথায় আমরা সঠিক জানি না। ছেলেটি মানুষকে ভুল বুঝিয়ে খুব সহজে মিশতে পারে। পরে ছেলেটি মানুষের সাথে প্রতারনা করে বিভিন্নভাবে। ছেলেটি যেখানে যায় সেখানেই এই কাজটি করে এবং প্রথমে ছাত্র ইউনিয়ন এবং প্রগতিশীলদের বেছে নেয়। ছেলেটি জামালপুর থেকে লাখ দুয়েক টাকা হাতিয়ে নিয়ে জামালপুর ছেড়ে চলে গেছে। এখন গাজীপুরে আছে। গাজীপুরে সে বামপন্থীদের কোন একটি প্রোগ্রামে বক্তব্য দিচ্ছে দেখে আমি তাকে চিনতে পারি এবং সংগঠনের লোকদের মাধ্যমে জানতে সে গাজীপুরে আছে।

তিনি আরো বলেন, ছেলেটি খুব বাকপটু এবং সহজে মানুষের সাথে মিশতে পারে। ছেলেটি তার মা বাবাকে মৃত বানিয়ে অসহায় সেজে টাকা নিয়ে জীবন চালায়। আমার সাথে এরকম প্রতারনা করে আমার কাছ থেকেও হাজার হাজার টাকা নিয়েছে। মা মারা গেছে আমাকে কিছু টাকা দাও আমি বাড়ী যাব এগুলি বলে টাকা নিত। পরে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ছেলেটির পরিবারের সবাই জীবিত এবং সুস্থ। ছেলেটি জামালপুরে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমরা ছেলেটিকে ধরতে পারছি না।

এব্যাপারে গাজীপুর জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি দিদারুল ইসলাম শিশির বলেন, অভিযোগ গুলোর ব্যাপারে আমরা অবগত আছি, উক্ত ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রমান পেলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।

জামালপুর প্রথম আলো বন্ধুসভা কমিটির সাবেক সভাপতি সেরাজুম মনিরা জায়ানা জানান, জামালপুরে একরামুল হক জিহাদের এইসব ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় জামালপুর প্রথম আলো বন্ধুসভার সাহিত্য সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় জিহাদকে।

জামালপুর প্রথম আলো বন্ধুসভা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিফাত আবদুল্লাহ বলেন, জিহাদ আমাদের কমিটিতে তিন মাসের মত ছিল, প্রথম প্রথম তার কাজকর্ম ভালই ছিলো। কিছুদিন পরে সে আমাদের কমিটির কিছু ছাএদের সাথে প্রতারনা মুলক কাজকর্ম করাতে তাকে কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এ ব্যাপারে একরামুল হক জিহাদ বলেন, এসব অভিযোগের ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আমি জামালপুরে একটি সামাজিক সংগঠনের সাথে কাজ করতাম। জামালপুর প্রথম আলো বন্ধুসভা থেকে বহিষ্কার করার ব্যাপারটি তিনি অবগত নন বলে জানান।

একরামুল হক জিহাদ শতদ্রু বাংলাদেশ নামক একটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বলে নিজের পরিচয় দেন।