ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ধর্ষণের অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী, ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাতের অভিযোগে মাদ্রাসার পরিচালক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ২১:৫৪, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

ধর্ষণের অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী, ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাতের অভিযোগে মাদ্রাসার পরিচালক গ্রেপ্তার

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী

গাজীপুরে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অবৈধ গর্ভপাতের অভিযোগে মাদ্রাসার পরিচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত মাদ্রাসার পরিচালক এমদাদুল হক (২৮) ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার মোজাখালী গ্রামের আ. ছিদ্দিকের ছেলে।

মঙ্গলবার বিকেলে জেলার শ্রীপুর উপজেলার ছাতির বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই উপজেলার ছাতিরবাজার এলাকার দারুল কোরআন মাদ্রাসার পরিচালক।

মাদ্রাসাছাত্রীর স্বজন, পুলিশ ও থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, শ্রীপুরে ভাড়া থেকে ভুক্তভোগীর মা স্থানীয় এক পোশাক কারখানায় এবং বাবা এলাকায় ফেরি করে মালামাল বিক্রি করে সংসার চালান। চিকিৎসকের পরামর্শে শিশুদের সঙ্গে মেশার সুযোগ করতে ভিক্টিমকে গত ঈদুল ফিতরের পর স্থানীয় দারুল উলুম মহিলা মাদরাসায় ভর্তি করেন। সেখানে ভুক্তভোগী অন্য শিশুদের সাথে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত থাকতো।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যায় মাদ্রাসার এক শিক্ষিকা মোবাইলে ফোন করে ভুক্তভোগীর পরিবারকে অসুস্থ থাকার কথা জানান। ফোন পাওয়ার পরপরই রাত ৮টার দিকে মাদ্রাসায় গেলে মেয়েকে রক্তক্ষরণরত অবস্থায় দেখতে পান। পরদিন ২২ আগস্ট তাকে নিয়ে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো হয়। সেখান অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহের কমিউনিটি বেজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সেখানে চিকিৎসকগণ জানান, ওই কিশোরী অন্তঃস্বত্তা ছিল, কিশোরীকে ওষুধ খাইয়ে তার গর্ভপাত করা হয়েছে। সেখান থেকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসা শেষে গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নেয়া হয়।

ভিকটিমের বাবা জানান, তার মেয়ে কথা বলতে পারে না। কিকরে তার এমন হলো জানতে চাইলে সে ইশারায় অভিযুক্ত এমদাদকে শনাক্ত করে এবং তাকে ধর্ষণ করেছে বলে দেখায়।

এ বিষয়ে তিনি ১৮ সেপ্টেম্বর তেলিহাটি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুল ইসলামের নিকট বিচার দাবই করেন। ইউপি সদস্য শফিকুল বিষয়টি সমাধানে না গিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবাকে তিনি থানায় অভিযোগ করতে বলেন। গত সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগীর বাবা শ্রীপুর থানায় এমদাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

শ্রীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, ভুক্তভোগীর বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।