ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

৬ দিনেও খোঁজ মিলেনি আরিফার

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ২৪ জুন ২০২২

৬ দিনেও খোঁজ মিলেনি আরিফার

আরিফার খোঁজে স্বজনরা

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে দুই মেয়েকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার ৬ দিনেও খোঁজ মিলেনি মা আরিফা আক্তারের (৪০)। 

শুক্রবার (২৪ জুন) সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো খোঁজ মিলেনি আরিফার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা সাবেদ আলী খান।

এর আগে ঘটনার পরপরই (১৯ জুন) তাহমিদাকে (৯) জীবিত উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ৪দিন পর বুধবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় শীতলক্ষ্যা নরসিংদীর পলাশ উপজেলার নিজামুদ্দিন ঘাট এলাকায় থেকে মায়ের সঙ্গে ঝাঁপ দেওয়া শিশু মুর্শিদার (৭) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আরিফা আক্তার কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের বিবাদিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী মুন্সির মেয়ে।

নরসিংদী বঙ্গারচর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আমিরুল ইসলাম জানান, ২২ জুন সন্ধ্যায় নরসিংদীর পলাশ থানার নিজামুদ্দিন ঘাটে একটি মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে মরদেহটি গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ মা-মেয়ের মধ্যে শিশু মেয়েটির বলে শনাক্ত করা হয়। পরে নিখোঁজদের স্বজনদের ছবি পাঠানো হয়। রাতেই তারা ফাঁড়িতে এসে মরদেহ নিখোঁজ শিশু মুর্শিদা আক্তারের বলে শনাক্ত করেন। পরে মরদেহটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিখোঁজ আরিফার ভাই এমারত হোসেন বলেন, ১০-১২ বছর আগে স্থানীয় আব্দুল মালেকের সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে দুই মেয়ের জন্ম হয়। এর কিছুদিন পর রোগাক্রান্ত হয়ে তার স্বামী মারা যায়। এরপর থেকে আরিফা অসহায় হয়ে পড়েন। তার মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ ছিল বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত রোববার (১৯ জুন) বেলা ১২টার দিকে গাজীপুরের কাপাসিয়ার সিংহশ্রী গ্রামের বরামা সেতু এলাকা শীতলক্ষ্যা নদীতে দুই মেয়েকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলো এক মা।