মিছিল আসছে একের পর এক। সবার মুখে জয় বাংলার স্লোগান। দীর্ঘ ১৯ বছর পর গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন। জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সকাল থেকে শহরের রাজবাড়ি মাঠে জড়ো হন তারা। প্রথম অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভার্চুয়ালী প্রধান অতিথির বক্তব্যে আগামি জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সারাদেশের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানান। গাজীপুরে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়েছে উল্লেখ্য করে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন বলেই-আমরা মহাআকাশ জয় করেছি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে বাংলার মাটিতে। আর আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বে থাকা মির্জা আজম-কোন্দল ভুলে গাজীপুরের পাঁচটি আসনেই আগামিতে বিজয় অর্জনের নির্দেশ দেন। এ সময় সম্মেলন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুস রাজ্জাক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, দলের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, সাঈদ খোকন ও বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি এমপি, মেহের আফরোজ চুমকি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। বিকেলে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ড.আব্দুর রাজ্জাক। কোন প্রার্থী না থাকায় তৃতীয়বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন আকম মোজাম্মেল হক, দশজন সাধারণ সম্পাদকের প্রার্থী হলেও যাচাই-বাছাই শেষে আব্দুর রাজ্জাক আবারো ইকবাল হোসেন সবুজকে তিন বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। ঘোষণার পর স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় রাজবাড়ি মাঠ। এসময় পুনরায় মোজাম্মেল সবুজের উপর ভরসা রাখায় দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তৃণমূল নেতারা। গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৩ সালের ২৯ জুন। ওই সম্মেলনে তৎকালীন গাজীপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক সভাপতি এবং টঙ্গী পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট আজমতউল্লাহ খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৩ বছর পর ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর সম্মেলন ছাড়াই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে পুনরায় সভাপতি এবং ইকবাল হোসেন সবুজকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করে। ২০১৭ সালের ২২ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
গাজীপুর কথা