কার্পাস তুলা চাষকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় আবারো চাষ করা হবে কার্পাস তুলা, ফিড়িয়ে আনা হবে ইতিহাসখ্যাত ঐতিহ্য। ইতিহাস থেকে জানাগেছে এক সময় ইতিহাস বিখ্যাত মসলিন কাপড়ের মূল উপাদান কার্পাস তুলা। চাষ করা হতো ভাওয়াল পরগনার তীর্থ ভূমি কার্পাস অঞ্চলে।
প্রচুর পরিমাণে কার্পাস তুলা উৎপাদিত হওয়ায় নদী বেষ্টিত এই অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছে কাপাসিয়া। কার্পাস থেকে কাপাসিয়া নামকরণের পর দেশব্যাপী ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। বর্তমানে কাপাসিয়া উপজেলা হিসাবে সকলের কাছে পরিচিত। ঐতিহাসিক নাম কার্পাস অনেকেরই অজানা। কার্পাস একটি তুলার নাম হিসাবেই পরিচিত।
কার্পাস তুলা থেকে উৎপাদন হতো মসলিন কাপড়। বিক্রয়ের অন্যতম বৃহৎ বানিজ্য কেন্দ্র ছিলো কাপাসিয়ার এই জনপদ। উৎপাদিত কার্পাস তুলার অতি মিহিম কাপড় আরব ও ইউরোপে রপ্তানী করা হতো। কালের পরিক্রমায় কাপাসিয়া তার এই ঐতিহ্যটিকে হারিয়ে ফেলে। ইতিহাস পুনরুজ্জীবিত করে কার্পাস তুলা চাষের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সেই লক্ষে ইত্যেমধ্যে কাপাসিয়াতে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের উপজেলা শাখার একটি কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।
হাড়িয়ে যাওয়া ইতিহাসখ্যাত ঐতিহ্য কার্পাস দীর্ঘ বছর পর কাপাসিয়া উপজেলায় ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারিভাবে মহতি উদ্যোগ গ্রহন করায় আনন্দের নিশ্বাস ফেলেন কাপাসিয়াবাসী।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, দেশনেত্রী শেখ হাসিনা ও গাজীপুর-৪, কাপাসিয়ার সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কাপাসিয়া উপজেলায় কার্পাস তুলা চাষকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
১৪ জুন, মঙ্গলবার কাপাসিয়ায় কার্পাস তুলা চাষাবাদ সম্পর্কে ৪০জন কৃষকের মাঝে দিনব্যাপী ধারনা ও প্রশিক্ষন কর্মশালার অয়োজন করা হয়েছে। এসময় কৃষকদের মাঝে কার্পাস তুলার চারা বিতরন করা হয়।
কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মোর্শেদ খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গতাজ কন্যা স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ আক্তারুজ্জামান, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, সরকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধান অতিথি কৃষকদের মাঝে কার্পাস তুলা গাছের বেশ কিছু চারা বিতরণ করেন।
উপজেেলা প্রশাসন জানানা, কিছুদিনের মধ্যেই কাপাসিয়া উপজেলায় কার্পাস তুলার চাষকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়।