ঢাকা,  বুধবার  ২৪ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

দ্বীনি কাজে ফারুকের দৃষ্টি ছিল

প্রকাশিত: ১৭:০৫, ১৬ মে ২০২৩

দ্বীনি কাজে ফারুকের দৃষ্টি ছিল

আকবর হোসেন খান দুলু

বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়া ভাই খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খান দুলু ওরফে চিত্র নায়ক ফারুকের দ্বীনি কাজের ক্ষেত্রে সজাগ দৃষ্টি ছিল। মসজিদ-মাদ্রাসার কল্যাণে জীবদ্দশায় খোঁজখবর রাখতেন।

মঙ্গলবাব (১৬ মে) দুপুরে ফারুক সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তাঁর বাবা আজগার হোসেন পাঠানের ওয়াকফ করা জমিতে প্রতিষ্ঠিত সোম মোজাদ্দেদিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেন্ট এএইচএম কাওছার আলম এ কথা বলেন।

এএইচএম কাওছার আলম বলেন, সোম মোজাদ্দেদিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার জন্মলগ্ন থেকে ওই মাদ্রাসার কাদরিয়া সিসতিয়া লিল্লা বোডিং ছিল। আর ওই লিল্লা বোডিং এর সব ব্যয় আকবর হোসেন খান পাঠান বহন করতেন। এ ছাড়া মাদ্রাসায় যারা এতিম থাকত, তাদের খাওয়া-দাওয়া, কাপড়-চোপড় তিনি এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে দিতেন। তিনি সব সময় মাদ্রাসার খোঁজ-খবরও রাখতেন।

মাদ্রাসা সুপার আরও বলেন, আকবর হোসেন খান যখন বাড়িতে আসতেন, তিনি মাদ্রাসার সুখ-দুঃখ, মাদ্রাসার শিক্ষকরা কেমন আছেন বা মাদ্রাসার কখন কী প্রয়োজন, সেটার ব্যাপারে সজাগ থাকতেন। এ ছাড়া মাদ্রাসার পাশের বাজারে জমি আছে ৩০ শতাংশ, সেটা তার বাবা আজগার হোসেন পাঠান মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ করে দিয়েছেন; সেটার আয় দিয়ে মাদ্রাসা চলে; সেটার ব্যাপারে তিনি বা তার পরিবার কখনো হস্তক্ষেপ করতেন না।

চিত্র নায়ক ফারুক সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্যা ভক্ত রেখে গেছেন। 

আজ মঙ্গলবার (১৬ মে) রাত ৯টায় সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে ওই মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। 

এর আগে রাত ৮টার তার মরদেহ পৈত্রিক ভিটায় আনা হবে। সেখানে এলাকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।