ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

প্রচারণায় অশ্লীল পোস্টার, বিব্রত পথচারীরা

প্রকাশিত: ২০:২৮, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রচারণায় অশ্লীল পোস্টার, বিব্রত পথচারীরা

সিনেমার অশ্লীল পোস্টার

নামসর্বস্ব নায়িকার খোলামেলা স্থিরচিত্র, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির পোস্টার সাঁটানো দেয়ালে দেয়ালে। শুধু রাস্তার মোড়ে বা দেয়ালে নয়, সিনেমা হলের মূল ফটকেও সাঁটানো রয়েছে এমন পোস্টার। যা দেখে বিব্রত হচ্ছেন পথচারীরা। 

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড়, কালিয়াকৈর বাজার, সাহেব বাজার মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে লাগানো হয়েছে এমন অশ্লীল পোস্টার। এসব রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে যাতায়াতে এ পথে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন নারীরা।

দর্শক ও সাধারণ মানুষের কাছে সিনেমার বিষয়বস্তু পৌঁছে দিতে পোস্টার একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাধ্যম। বর্তমানে সিনেমার প্রচারণায় নানা অনুষঙ্গ যোগ হলেও, এক সময় প্রচারণায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে পোস্টার। কিন্তু এ ধরনের অশ্লীল পোস্টার শুধু বিব্রত পরিস্থিতিতে ফেলে না, বরং বাংলা সিনেমার প্রতি মানুষের সৃষ্টি হয় বিরূপ প্রতিক্রিয়া। যা প্রেক্ষাগৃহের জন্য একটি নেতিবাচক দিক বলে মনে করেন এলাকাবাসী। 

এলাকাবাসীরা জানান, কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের সামনে খাড়াজোড়ায় অবস্থিত রজনী সিনেমা হল। সেখানে কখনোই রুচিসম্মত সিনেমা প্রদর্শন করা হয় না। ২০০০ সালের দিকে তৈরি অশ্লীল সিনেমা দেখানো হয় এই প্রেক্ষাগৃহে। সিনেমার আড়ালে বিভিন্ন অসামাজিক কাজ হয় বলেও জানান এলাকাবাসী।

বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান বলেন, আমাদের দেশের সিনেমা বর্তমানে একটু ভালোর দিকে যাচ্ছে। নতুন কিছু সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, যা মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় কালিয়াকৈর উপজেলায় ভালো কোনও সিনেমা হল নেই। রজনী সিনেমা হলের পোস্টার দেখেই রুচিবোধ নষ্ট হয়ে যায়। অশ্লীল সিনেমা প্রদর্শন ও দৃষ্টিকটু পোস্টার যেন লাগাতে না পারে এজন্য প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ওই হলের মালিক জুলহাজ বলেন, একটি ভালো সিনেমা আনতে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা লাগে। আমাদের হলে দর্শক কম হওয়ার ৪-৫ হাজার টাকার সিনেমা এনে দেখানো হয়। তবে হলে কোনও অনৈতিক কাজ করা হয় না। অশ্লীল পোস্টার কেন দেয়ালে সাঁটানো হয় এমন প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি তিনি।

কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, এমন পোস্টার দৃষ্টিকটু। আমরা তদন্ত করে দেখবো। তাদের প্রেক্ষাগৃহে যদি অশ্লীল সিনেমা চলে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।