ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কালিয়াকৈরে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব দখল করে চলছে কোচিং বাণিজ্য

প্রকাশিত: ২১:১২, ৪ আগস্ট ২০২২

কালিয়াকৈরে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব দখল করে চলছে কোচিং বাণিজ্য

শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব দখল করে চলছে কোচিং বাণিজ্য

একটি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রুটিনে প্রতিদিন সকালে শুরু হয় কোচিং বাণিজ্য দিয়ে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকারাই সকাল থেকে শুরু করেন এই কোচিং কার্যক্রম। তাও আবার প্রতিষ্ঠানের ভেতর নির্মিত শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব দখল করে।

এমন অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ঢালজোড়া ইউনিয়নের বাঙ্গুরী আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষিকা হিমেল রানীর বিরুদ্ধে। প্রতিদিন পাঠদান শুরুর আগে ওই শিক্ষিকা শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শুরু করেন কোচিং কার্যক্রম।

এদিকে ওই একই বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকারাও বিদ্যালয়ের কক্ষে ও আশপাশের বিভিন্ন স্থানে কৌশলে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতর কোচিং বাণিজ্য সম্পূর্ণ নিষেধ থাকলেও উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের বাঙ্গুরী আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষিকা হিমেল রানী প্রতিষ্ঠানের ভেতরেই শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব দখল করে শিক্ষার্থীদের কোচিং করাচ্ছেন। কোচিং ফি বাবদ তিনি প্রতি শিক্ষার্থীর কাছে থেকে নিচ্ছেন ৫০০ টাকা। একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা স্মৃতি রানী পাল প্রতিষ্ঠানের একটি শ্রেণি কক্ষে একাধিক বিষয়ে প্রতি মাসে কোচিং বাণিজ্য করে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করছেন। ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক রুস্তম আলী ও অমল বাবু নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বাইরে নিয়ে কোচিং বাণিজ্য করছেন।

ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা নাসির উদ্দিন জানান, একটি বিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষকই যদি কোচিং চালায়- তাহলে বিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়ার দরকার আছে বলে মনে হয় না।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে জানতে চাইলে তারা কোন কথা বলেননি। তবে কথার এক ফাঁকে হিমেল রানী বলেন, শিক্ষামন্ত্রী কোচিং করানোর অনুমতি দিয়েছেন।

বাঙ্গুরী আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরসেদ আলী জানান, শুনেছি- ক্লাস শুরুর আগে কোচিং হয়। বিষয়টি আমি দেখব।

কালিয়াকৈরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন মোল্লা জানান, কোচিং বাণিজ্যের বিষয়টি দেখবে প্রধান শিক্ষক। তার অনুমতি ছাড়া তো এটা হবে না। তবে শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব দখল করে কোচিং বাণিজ্য করার বিষয়ে আমার জানা নেই। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।