ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু

প্রকাশিত: ০৮:২০, ২৫ মে ২০২৩

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু

ছবি: সংগৃহীত

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এ নির্বাচনের দিকে শুধু গাজীপুরবাসী নয়, সারাদেশ তাকিয়ে আছে। সকাল ৮টায় ভোটাররা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ শুরু করেছেন, চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

ভোট গ্রহণ শুরুর দু’ঘণ্টা আগ থেকেই ভোটাররা ভোট কেন্দ্রের সামনে দীর্ঘ লাইন দিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

সকাল ৬টায় ভোট দেওয়ার জন্য দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে ভোটাররা জানিয়েছেন: তাদের কাজ থাকায় সকাল সকাল ভোট দিতে এসেছেন। পরে যেন ভোগান্তিতে পড়তে না হয়, সে বিষয়টি এড়াতেই সকাল সকাল এ উপস্থিতি।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন মেয়র, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর। এ নির্বাচনের ফলাফল জাতীয় সংসদসহ আগামী নির্বাচনগুলোতে অনেকটা প্রভাব ফেলবে এমন ধারণায় এ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। যদিও বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।

এ নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাকের পার্টিসহ পাঁচটি রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী এবং তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ মোট আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী অ্যাড. আজমত উল্লা খান। তিনি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, তিনি সাবেক টঙ্গী পৌরসভার মেয়র-চেয়ারম্যান হিসেবে তিনবার নির্বাচিত জন প্রতিনিধি ছিলেন।

তার সঙ্গে টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জায়েদা খাতুন। এ দুই প্রার্থীর বাইরে ভোটের লড়াইয়ে আছেন জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন’র প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতার ছেলে শাহনূর ইসলাম রনি।

এ ছাড়াও এ নির্বাচনে ১৯টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আসনে ৭৮ জন এবং ৫৭টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদের ২৪৩ জন সহ মোট ৩২৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার সদস্য নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত রয়েছে। নির্বাচনে একজন মেয়র, ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৫৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৯ জন নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হবে। অবশ্য এদের মধ্যে একজন সাধারণ কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনী এলাকার ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রে তিন হাজার ৪শ ৯৭টি ভোট কক্ষ থাকবে। সিটি করপোরেশনের ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪শ ৬৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

এদের মধ্যে পুরুষ পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭শ ৪৭ জন, নারী ভোটার পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬শ ৯৮ এবং ১৮ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে। নির্বাচনে ১০ হাজার ৯শ ৭১ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে ৪শ ৮০ জন প্রিসাইডিং অফিসার, তিন হাজার ৪শ ৯৭ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ছয় হাজার ৯শ ৯৪ জন পোলিং অফিসার। সিটি এলাকার ৩শ ৩৩টি প্রতিষ্ঠানে ৪শ ৮০টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৪টি প্রতিষ্ঠানে ২টি করে ভোটকেন্দ্র, ১৬টি প্রতিষ্ঠানে তিনটি করে ভোটকেন্দ্র, ৯টি প্রতিষ্ঠানে চারটি করে ভোটকেন্দ্র এবং একটি প্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র আছে।