ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাসিক ৪১নং ওয়ার্ড: নতুন প্রার্থীদের নিয়ে বেশি আলোচনা

প্রকাশিত: ১৭:৪৪, ২০ মে ২০২৩

গাসিক ৪১নং ওয়ার্ড: নতুন প্রার্থীদের নিয়ে বেশি আলোচনা

সংগৃহিত ছবি

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলের ৪১ নং ওয়ার্ডে জমে উঠেছে নির্বাচনি লড়াই। এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের ৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলীয় সিদ্ধান্তে বিএনপির কোনো প্রার্থী মাঠে নেই। 

আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ৫ জনই প্রতীক নিয়ে জনসংযোগে মাঠঘাট চষে বেড়াচ্ছেন। তবে ভোটারদের মুখে নতুন প্রার্থীদের নামই বেশি বেশি আলোচিত হচ্ছে। 

প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর মোমেন মিয়া লাঠিম, সাবেক কাউন্সিলর বজলুর রহমান বাছির ঘুড়ি মার্কা পেয়েছেন। 

২০১৮ সালের নির্বাচনে মোমেন মিয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মিরের বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা আমজাদ হোসেন মোল্লা পেয়েছেনে ঠেলাগাড়ি মার্কা, যুবলীগ নেতা আশরাফুল আলম মিষ্টি কুমড়া মার্কা ও ৪১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন খান টিফিন ক্যারিয়ার মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

৪১ নং ওয়ার্ডের ২৪টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার ভোটার ৭ টি ভোট কেন্দ্রে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। ২৫ মে প্রথমবারের মতো ইভিএমে তারা ভোট দেবেন। 

পূবাইলের ৪১ নং ওয়ার্ডে কোনো প্রার্থীল বারবার নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সিটি হওয়ার পর প্রথম নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন বজলুর রহমান বাছির যিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে মোমেন মিয়ার কাছে হেরে যান। এবারও তারা নির্বাচন করছেন। 

স্থানীয়দের অনেকে বলছেন, আগের দুই জনপ্রতিনিধি প্রত্যাশিত ও আকাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করে তাদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। করোনা ও দু’দুবার নগরীতে ভারপ্রাপ্ত মেয়র থাকায় কাউন্সিলরা এলাকায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে পারেননি। বিশেষ করে বিভিন্ন সরকারি ভাতা, ওএমএসের আটা-চাল, টিসিবির পণ্য বিতরণে কার্ড ইস্যুতে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন ভোটারেরা। বিশেষ করে রাস্তায় ল্যাম্পপোস্ট না দেওয়া, রাস্তা সম্প্রসারণে সীমানা প্রাচীর ও ঘর বাড়ি ভাঙচুরে ক্ষতিপূরণ না পাওয়া, রাস্তা মেরামতে ধীর গতি এসব অভিযোগ উঠে আসছে ভোটারদের কাছ থেকে। তাদের অনেকেই এবার নতুন নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। 

আগের দুই কাউন্সিলরের ব্যর্থতাগুলোকে পুঁজি করে প্রচার চালাচ্ছেন অন্য তিন প্রার্থী। গত নির্বাচনে দ্বিতীয় হওয়া আমজাদ হোসেন মোল্লা, ৪১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন খান ও তরুণ যুবলীগ নেতা আশরাফুল আলমের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন তাদের সমর্থকরা। 

নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে ৪১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আমজাদ হোসেন মোল্লা বলেন, গত নির্বাচনে কীভাবে আমাকে হারানো হয়েছে তা সবাই জানে। এবার উন্নয়ন ও সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আমার ঠেলাগাড়িতে ভোট দিতে জণগণ ভুল করবে না। আপনারা ২৪ টি গ্রাম ঘুরে ঠেলাগাড়ি মার্কার জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। 

টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আলমগীর হোসেন খান বলেন, সবচেয়ে অবহেলিত ৪১ নং ওয়ার্ডের উন্নয়নে আমার বিকল্প দেখছি না। কীভাবে ওপর থেকে বাজেট এনে কাজ করতে হয় সেটা আমি জানি। 

মিষ্টি কুমড়া মার্কা নিয়ে লড়ছেন যুবলীগ নেতা আশরাফুল আলম। এলাকাকে বদলে দেওয়া ও পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ৪১ নং ওয়ার্ডকে ঢেলে সাজাব। 

সাবেক কাউন্সিলর বজলুর রহমান বাছির বলেন, আমার বিগত দিনের কাজই  আমাকে কাউন্সিলর পদে ফিরিয়ে আনবে। ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে। আমি জয়ের বিষয়ে ১০০% আশবাদী। 

বর্তমান কাউন্সিলর মোমেন মিয়া বলেন, জয়ী হলে অসমাপ্ত কাজগুলো করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবো।