ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ব্রি ও বারি পরিদর্শনে ভারতের আইসিএআর মহাপরিচালক

প্রকাশিত: ২০:০১, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

ব্রি ও বারি পরিদর্শনে ভারতের আইসিএআর মহাপরিচালক

ভারতের আইসিএআর মহাপরিচালক

ভারত সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা বিভাগ (ডিএআরই) এর সচিব এবং ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদ (আইসিএআর) এর মহাপরিচালক ড. হিমাংশু পাঠক বুধবার গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) পরিদর্শন করেছেন।

এ সময় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বার্ক) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, সার্ক কৃষি কেন্দ্র এর পরিচালক ড. মো. বক্তীয়ার হোসেন এবং মিসেস হিমাংশু পাঠক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার বিকেল পর্যন্ত উভয় প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবীর এবং বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার প্রতিনিধি দলকে পৃথকভাবে স্বাগত জানান। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উভয় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ল্যাব পরিদর্শন করেন এবং বর্তমান কার্যক্রম, অগ্রগতি ও সাফল্য দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময় উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীগন উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিনিধি দলটি প্রথমে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) আসেন এবং ব্রি’র বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। ব্রির মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় ব্রির অর্জন ও অগ্রগতি সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করা হয়। মতবিনিময় সভা শেষে ব্রি’র পক্ষ থেকে সফররত প্রতিনিধি দলের সদস্যদের ক্রেস্ট এবং বিভিন্ন উপহার সামগ্রী উপহার দেয়া হয়। 

এরপর বিকেলে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) পরিদর্শন করেন এবং বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার। পরে মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনের মাধ্যমে ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন কার্যক্রম, অগ্রগতি ও সাফল্য তুলে ধরা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক ড. হিমাংশু পাঠক বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে কৃষিতে উন্নতি হলেও কৃষকের সেভাবে উন্নয়ন হয়নি। আমাদের দুই দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু প্রায় একই রকম। তাই আমাদের কৃষিতে সমস্যাগুলোও প্রায় একই রকম।

তাই এ সমস্ত সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকবেলায় আমাদের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, মাটি, পানি ও সার ব্যবস্থাপনা, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ড্রোনের ব্যবহার, ন্যানো প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রাকৃতিক খামার ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি ক্ষেত্রে আমাদের দুই দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।