
সংগৃহিত ছবি
ছাদ কৃষির মিছিলে এবার যুক্ত হয়েছে ছাদে পশুপালন। দুইতলা বাড়ির ছাদে ছাগল খামার করে এবার তাক লাগিয়ে দিয়েছেন গাজীপুরের এক উদ্যোক্তা। একই ছাদে পালন করছেন মুরগি আর কবুতর। সফলতাও পেয়েছেন বেশ। এখন স্বপ্ন দেখছেন খামারের পরিধি আরও বাড়ানোর।
দুই বছর আগে ২৮০০ স্কয়ার ফিটের ছাদে টিনের সেড দিয়ে ছাগল পালন শুরু করেন গাজীপুরের পশ্চিম চাপুলিয়া এলাকার বাসিন্দা মোর্শেদ খান। বর্তমানে তার সেডে রয়েছে ৩৫টি ছাগল। এই উদ্যোক্তা জানান, একটি পাঠা এবং দুটি মাদি ছাগল কিনে সূচনা করেন তার এ খামারের। এখন বেড়েছে ছাগলের সংখ্যা।
মোর্শেদ খান আরও জানান, ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার ছাগল দিয়ে আমি প্রথমে আমি শুরু করি। এরপর আস্তে আস্তে ছাগলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আমি ৭৫টি ছাগল পেয়েছি। আর নিরাপদ খাদ্যের জোগানে ঘাসের চাষও করছেন বাড়ির পাশেই।
এ উদ্যোক্তা আরও জানান, নিরাপদ খাদ্যের যোগানে ঘাসের চাষও করছেন বাড়ির পাশেই। একটি ছাগলের জন্য প্রায় ৬ কেজি ঘাস প্রয়োজন হয়। এই ঘাস কারো যদি নিজের নাও থাকে আশেপাশে সরকারি রেললাইনের জায়গা আছে কিংবা খাস জায়গা আছে। সেখানের উচ্ছিষ্ট যে জায়গা থাকে সেখানে ঘাস হচ্ছে সেই ঘাস দিয়েও শুরু করতে পারে।
এদিকে মোর্শেদ খানের এমন উদ্যোগ নজর কেড়েছে স্থানীয়দের। সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই ছাগলের খামার।
স্থানীয়রা জানান, মোর্শেদের সফলতায় আমদের এলাকায় এখন পর্যন্ত ৪০/৫০টি এরকম খামার হয়েছে। তাই এলাকার তরুণরা এখন আর শুধু চাকরির পিছনে না ঘুরে নিজেদের স্বাবলম্বী করতে এ ধরনের উদ্যোগ নিবে।
গাজীপুর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. হেলাল আহম্মদ বলেন, যে খামারটি মোর্শেদ গড়ে তুলেছে সেটি অত্যান্ত সুন্দর একটি খামার। তবে সেখানে কিছু কারিগরি ত্রুটি রয়েছে। এই খামারটি আরও ভালো ভাবে পরিচালনা করার জন্য আমরা পরামর্শ দিয়েছি। সে যদি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সঙ্গে সম্পর্কটা আরও নিবিড় করে তবে তার এই খামারটি আরও বেশি সাফলতা লাভ করবে।
ছাগলের পাশাপাশি এই খামারে আছে তিন'শ দেশি মুরগি ও ২০ জোড়া কবুতর।