ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

অটোরিকশার জমা: মালিক-শ্রমিকদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

প্রকাশিত: ১৪:০১, ২১ মে ২০২২

অটোরিকশার জমা: মালিক-শ্রমিকদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

সিএনজিচালিত অটোরিকশার দৈনিক জমার টাকা কমানো ও বাড়ানোর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিক্সা, মিশুক চালক ও শ্রমিক ইউনিয়ন ও ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদ।

শনিবার (২১ মে ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও ভেতরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেন তারা।

সিএনজিচালিত অটোরিকশার দৈনিক জমার টাকা বাড়ানোসহ নয় দফা দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে সংবাদ সম্মেলন করছে ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদ। অন্যদিক একই সময়ে দৈনিক জমা না বাড়ানোসহ দুই দফা দাবিতে প্রেসক্লাবের সামে মানববন্ধন করছে ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিক্সা, মিশুক চালক ও শ্রমিক ইউনিয়ন।

অটোরিকশা মালিকপক্ষ বলছে, বর্তমান বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় এবং সরকারি ট্যাক্স বাড়ায় তারা নির্ধারিত দৈনিক জমার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের দাবি, দৈনিক জমার পরিমাণ বাড়াতে হবে।

প্রেসক্লাবের সামবে  মানববন্ধন করা অটোরিকশাচালকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মালিকপক্ষ সরকার নির্ধারিত দৈনিক জমার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা জমা নেন। এ কারণে তারা সড়কে মিটারে ভাড়া নেন না।

প্রেসক্লাবের জহুরুল হক হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. বরকত উল্লাহ বলেন, অটোরিকশার দৈনিক জমা ২০১৫ সালে সর্বশেষ নির্ধারণ করা হয় ৯০০ টাকা এবং মিটারে প্রতি কিলোমিটারে ১২ টাকা। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অটোরিকশার যন্ত্রাংশের দাম বাড়ায় এবং বিআরটিএ তে ট্যাক্সের দাম বাড়ায় এভাবে অটোরিকশা ব্যবসা চালানো মালিকদের পক্ষে কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দৈনিক জমা ৯০০ টাকার বেশি চালকদের কাছ থেকে নেওয়া হয় স্বীকার করে বরকত উল্লাহ বলেন, এছাড়া আমাদের মালিকদের আর কোনো উপায় নেই। আমরা দৈনিক জমা অন্তত ১ হাজার ২০০ টাকা এবং মিটারে প্রতি কিলোমিটারে ২০ টাকা করতে হবে। তিনি বলেন, নগরীতে বৈধ অটোরিকশা ১৫ হাজার। আর অবৈধ অটোরিকশা ৩২ হাজারের বেশি। এগুলো ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলা থেকে আসা।
অটোরিকশা মালিকদের অন্যতম দাবিগুলো হলো-

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলা এবং প্রাইভেট অটোরিকশা ঢাকা মহানগরীতে চলাচল বন্ধ করতে হবে, বিভিন্ন জেলার অটোরিকশার নির্ধারিত রং বাস্তবায়ন করে রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস দিতে হবে, মহানগরীতে অটোরিকশার জন্য স্থায়ী পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না করে নো পার্কিং-এর মামলা বন্ধ করতে হবে, সহজশর্তে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে এবং অটোরিকশা রেকারিংয়ের ভয় দেখিয়ে পুলিশি হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।

অন্যদিকে সকাল ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনের মানববন্ধন করছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকেরা। তাদের দাবি দুটি- অটোরিকশার জন্য দৈনিক জমা ৯০০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না এবং চালকদের নামে ৫ হাজার অটোরিকশা না দেওয়া পর্যন্ত মহানগরীতে কোনো প্রকার থ্রি-হুইলার উচ্ছেদ করা যাবে না।

ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা, মিশুক চালক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন,  এমনিতেই মালিকেরা ৯০০ টাকার জায়গায় ১ হাজার ২০০ টাকা জমা রাখে। মালিকেরা শিফটভেদে ১ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত জমা রাখে, যা অন্যায়। অটোরিকশার দৈনিক জমা কোনোভাবেই ৯০০ টাকার বেশি আইন করে নেওয়া যাবে না।

সংগঠনটির আরেক নেতা মো. জব্বার মিয়া বলেন, সিএনজি অটোরিকশার জমা বাড়ানোর দাবিতে মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদের কর্মসূচি প্রত্যাখান করে শ্রমিক সংগঠনগুলোর এই কর্মসূচি।  দাবি আদায়ে শ্রমিকেরা রাজপথে থাকবে।

গাজীপুর কথা