ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

শ্রীপুরে বিয়ের দাবিতে ‘প্রেমিক’ পুলিশ সদস্যের বাড়িতে কলেজছাত্রী

প্রকাশিত: ১৫:০২, ১৮ মে ২০২২

শ্রীপুরে বিয়ের দাবিতে ‘প্রেমিক’ পুলিশ সদস্যের বাড়িতে কলেজছাত্রী

গাজীপুরের শ্রীপুরে বিয়ের দাবিতে ‘প্রেমিক’ পুলিশ সদস্যের বাড়িতে দীর্ঘ ১১দিন যাবৎ অবস্থান করছিলেন এক কলেজছাত্রী।
মঙ্গলবার বিকালে তিন নারীসহ ৫ ব্যক্তি ওই ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় তার বাড়ির আঙিনায় ফেলে রেখে চলে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 
রাত আটটার দিকে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই কলেজছাত্রীকে হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক আরশাদ মিয়া জানান, ৯৯৯ - এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে ওই ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য  হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওই ছাত্রীর বড় বোন রুনা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীরের লোকজন তার ছোট বোনকে খাবার না দিয়ে নির্যাতন করে অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখে।
পুলিশ সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের মোহাম্মদ ছাত্তার ঢালীর ছেলে। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছেন।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাড়ি একই ইউনিয়নের ধামলই গ্রামে। বোনের বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করেন তিনি।
ওই ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অষ্টম শ্রেণিতে পরার সময় ওই ছাত্রী পুলিশ কনস্টেবল জাহাঙ্গীরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে চলে এ প্রেম। হঠাৎ করে জাহাঙ্গীর ওই ছাত্রীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। জাহাঙ্গীর ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসলে গত ৬মে বিকালে ওই ছাত্রী প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়। জাহাঙ্গীর বিষয়টি বিয়ে ছাড়া অন্য পন্থায় সুরাহা করতে না পেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে কর্মস্থলে চলে যায়। ১১দিন অবস্থানের পর মঙ্গলবার বিকালে জাহাঙ্গীরের ফুফু পরিচয় দেয়া দুই নারী স্থানীয় ধামলই বাজারের কামাল ডাক্তারসহ ওই ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় তার বাড়ির আঙিনায় ফেলে রেখে যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলম জানান, বিষয়টি সমাধান করতে বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত জাহাঙ্গীর রাজী হয়নি তাই বিয়ে পরানো সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই মেয়ের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। স্থানীয় কিছু মানুষ মেয়েকে দিয়ে আমার সঙ্গে প্রতারণা করছে।
কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক আজিজ বলেন, বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের বিচারের বাইরে। ভুক্তভোগীকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ভিকটিমের পক্ষ হতে অভিযোগ পেলে সঠিক তদন্তের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাজীপুর কথা