ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

এবার ঈদযাত্রায় গলার কাঁটা টঙ্গী-কলেজগেটের সাড়ে তিন কিমি পথ

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২৬ এপ্রিল ২০২২

এবার ঈদযাত্রায় গলার কাঁটা টঙ্গী-কলেজগেটের সাড়ে তিন কিমি পথ

টঙ্গী থেকে কলেজগেট, এ সাড়ে তিন কিলোমিটারই গলার কাঁটা হতে পারে এবারের ঈদযাত্রায়। ঢাকা-ময়মানসিংহ মহাসড়কে এ পথটুকুই পাড়ি দিতেই কখনো পেরিয়ে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
ঈদের আগে এ পথের বাকি অংশ কোনো রকম পার করা গেলেও পথের শুরুর এ ধাক্কা সামাল দেওয়াই কঠিন হতে পারে। যানজট আর দুর্ভোগ কমাতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিয়েছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সাইফুন নেওয়াজ।
তবে ঢাকা-মাওয়া রুট এখন মহাসড়কে স্বস্তির যেন অপর নাম। এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি খুব একটু ছুঁতে পারবে না ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কেও। একটু নজরদারি বাড়ালে ঢাকা-চট্টগ্রামেও স্বস্তির যাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তবে সবচেয়ে ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। 
আর এ পথে শুরুতেই বড় ধাক্কা টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে কলেজগেট পর্যন্ত। এখনই এ সাড়ে তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে যেন দিশাহারা যাত্রী আর পরিবহন চালকরা। তাই ঈদের চাপ নিয়ে শঙ্কা। 
পরিবহনচালকরা সময় সংবাদকে জানান, সকালে একটি টিপ নিয়ে বের হলে দেখা যায় যানজটের কারণে সারা দিন চলে যায়। এ রকম অবস্থা থাকলে আমরা আর গাড়ি ঠিকমতো চালাতে পারব না। না খেয়ে মরে যেতে হবে। ঈদের সামনে আরও বেশি কষ্ট হবে। ঈদের সামনে গাড়ি বাড়ে তখন তো সমস্যা আরও বাড়বে। হাজার হাজার যাত্রী বাড়িতে ঠিকমতো পৌঁছাতে পারবে না।
এ ছাড়া গাজীপুর চৌরাস্তাও ভোগাতে পারে এ পথে চলাচলকারীদের। 
একবাস চালক জানান, আগের চেয়ে রাস্তা অনেক সরু হয়ে গেছে। রাস্তা তো আগের মতো নেই। আগে ভাঙাচোরা হলেও রাস্তা বড় ছিল। চৌরাস্তা থেকে মহাখালী যেতে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগে। এ অবস্থা থাকলে তো গাড়ি চালানো যাবে না।  
যদিও বিআরটি কর্তৃপক্ষ বলছে সহনীয় পর্যায়েই থাকবে যাতায়াত ভোগান্তি। 
বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, যেটা ভোগান্তি, বর্ষা বলি আর ঈদ বলি, সেটার ঈদের ঝামেলা নেই। কিন্তু আমার এ বর্ষার ভোগান্তি এটাও শেষ। তারপর ওই কাজের কারণে ধুলোবালি এইটার এটা শেষ সিজন।     
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সাইফুন নেওয়াজ বলেন, সাইড রুট থেকে গাড়ি যেন না আসে সেটি লক্ষ রাখতে হবে। নসিমন-করিমন এবং হাটবাজারগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে।
আগামী বছর জুনে বিআরটি প্রকল্প পুরোপরি চালু হলে এ পথে স্বস্তি ফিরবে বলে মনে করেন কর্তৃপক্ষ।

গাজীপুর কথা