ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৮ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কাপাসিয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ২৩ এপ্রিল ২০২২

কাপাসিয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়মের অভিযোগ

কাপাসিয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসাইনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর টাকা আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের একাধিক লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সোহেল রানাসহ শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, কপালেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসাইন ২০১২ সালের ২৬ জুলাই যোগ দেন। তিনি স্কুলে যোগ দেওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি নবায়নসহ বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের তহবিল থেকে ভুয়া তথ্য ও অনুমোদন বিহীনভাবে অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মতান্ত্রিক কার্যকলাপ করে আসছেন। বিদ্যালয়ের স্বীকৃতির জন্য যেখানে ৫ হাজার টাকা লাগে সেখানে প্রধান শিক্ষক ৪৯ হাজার টাকা ব্যয়ে দেখিয়েছেন এবং ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসাইন জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রশংসাপত্র ও সনদপত্র দেওয়ার জন্য ছাত্র প্রতি ৪০০ টাকা করে আদায় করলেও তা আয়-ব্যয়ের খাতায় উল্লেখ না করে আত্মসাৎ করেছেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসাইন বলেন, বিদ্যালয়ের হিসাব নিয়ে আমি একটু চাপে আছি। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ছাত্র প্রতি ৬০০ টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সোহেল রানা বলেন, আমি চাই আমার অভিযোগের বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য প্রকাশিত হবে ও অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক ও কর্মচারীরা স্বাক্ষর করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি যেন ব্যাংক রশিদের মাধ্যমে টাকাগুলো ফেরত দেয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম সরকারের জানান, দুপক্ষকেই ইউএনও অফিসে ডাকা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গাজীপুর কথা