গাজীপুরে চাঞ্চল্যকর অটোরিকশা চালক হত্যাকান্ডের ঘটনায় আসামীদের ফাঁসির দাবি ও দ্রুত সময়ে বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সকালে বাঁশবাড়ি গ্রামের প্রায় আড়াই হাজার নারী-পুরুষ রাস্তায় নেমে আসে। এসময় ফাঁসি চাই,ফাঁসি চাই শ্লোগানে মুখরিত ছিলো বাঁশবাড়ি-জৈনা বাজার আঞ্চলিক সড়ক। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহিম খলিল,গাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদীন,শফিকুল ইসলাম শফি, শামসুল হক, সংরক্ষিত নারী সদস্য মিনারা নাজমুল, স্থানীয় মেম্বার ইদ্রিস আলী, আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম স্বপনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী। জয়নাল আবেদীন বলেন, খুনী রুহুল আমিন এই গ্রামের ছিঁচকে চুর থেকে আজ বড় খুনী হয়েছে। এর আগেও সে এলাকায় মোবাইল, ল্যাপটপ, সিএনজি,অটোরিকশা চোর থেকে আজ সে হয়েছে -শীর্ষ খুনী। সে বাহিরের খুনী ভাড়া করে এনে নিরিহ অটোরিকশা চালক আনোয়ার হোসেনকে খুন করে তার উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম অটোরিকশা চুরি করে নিয়ে গেছে। আমরা গ্রামবাসী মানববন্ধন থেকে দ্রুত বিচার দাবি করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার করে হত্যার রহস্য উন্মোচন করায় শ্রীপুর থানা পুলিশকেও ধন্যবাদ দেন উপস্থিত বক্তারা। নিহত অটোরিকশা চালকের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম রবিন বলেন, আমার বাবাকে হত্যার সঙ্গে রুহুল আমিনের মা আর ভাই জড়িত রয়েছে। আসামীদের রিমান্ডের মাধ্যমে জিজ্ঞেসাবাদে বাকি আসামীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। পাশাপাশি খুনীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি করেন।
গাজীপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে হত্যার সঙ্গে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য গত ১০ এপ্রিল দিবাগত রাতে শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাঁশবাড়ি গ্রামে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে অটোরিকশা চালক মো. আনোয়ার হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় ঘাতকরা। পরদিন পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রুহুলসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেন,উদ্ধার করা হয় চুরি হওয়া অটো রিকশাটিও।
গাজীপুর কথা
